ধর্মপাশায় প্রয়াত সাংবাদিক কামালের পৈত্রিক জমি দখল চেষ্ঠার প্রতিবাদ

ধর্মপাশা প্রতিনিধি


নভেম্বর ২৭, ২০২১
০৭:৩৫ অপরাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ২৭, ২০২১
০৭:৩৫ অপরাহ্ন



ধর্মপাশায় প্রয়াত সাংবাদিক কামালের পৈত্রিক জমি দখল চেষ্ঠার প্রতিবাদ

সাংবাদিক পরিবারের পৈত্রিক রেকর্ডিয় জমি দখল করার চেষ্ঠার প্রতিবাদে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  আজ  শনিবার (২৭নভেম্বর) বিকেল তিনটার দিকে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের বীর দক্ষিণ প্রচারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও  দৈনিক বাংলা পত্রিকার সাবেক সহকারি সম্পাদক প্রয়াত মোস্তফা কামালের পৈত্রিক নয় একর  জমি স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র অবৈধভাবে দখল করার চেষ্ঠা করার প্রতিবাদে উপজেলার বাদশাগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারি শিক্ষক আছাদুজ্জামান এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। 

সংবাদ সম্মেলনে তিনি উল্লেখ করেন, উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের বাদশাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন বৌলাম মৌজায় আমার মামা প্রয়াত সাংবাদিক মোস্তফা কামালের পৈত্রিক নয় একর জমি রয়েছে। আমি নিজেও এই সম্পত্তির উত্তরাধিকারী এবং কেয়ার টেকার হিসেবে আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই সম্পত্তি ভোগ  দখল করে আসছি। এই জমির পাশাপাশি সরকারি খাস খতিয়ানের ভূমিও রয়েছে। ১৯৯৯ সালে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের বৌলাম গ্রামের বাসিন্দা আফির উদ্দিন (৬৫) ভূমিহীন হিসেবে বৌলাম মৌজায় এক একর জমি সরকার থেকে বন্দোবস্ত পান। বেশ কয়েক বছর ধরে আফির উদ্দিনের সহায়তায় স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র সেখানে থাকা আমার মামা সাংবাদিক পরিবারের নয় একর জমি অবৈধভাবে দখল করার জন্য অপচেষ্ঠা চালিয়ে আসাসহ চাষাবাদ কার্যক্রমে নানাভাবে বিঘ্ন সৃষ্টি করে আসছে। এ অবস্থায় ২০১৮সালে ৭জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। ২০২০সালের ১৩জানুয়ারি এই মামলার শুনানি শেষে আমার পক্ষে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে বিবাদীদেরকে উল্লেখিত ভূমিতে যেতে বারণ করার আদেশ দেওয়া হয়। কিন্ত আফির উদ্দিন ও তাঁকে সহাযোগীরা এই আদেশ মানেননি। পরে চলতি বছরের ২২আগস্ট সহকারি জজ আদালতে আমি বাদী হয়ে একটি মামলা করি।মামলার নম্বর ১৩৭/২১। গত ২৩নভেম্বর আফির উদ্দিনসহ বিবাদীগণের বিরুদ্ধে অন্তবর্তী কালীন নিষেধাজ্ঞা ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় আদালত।কিন্ত এতে আফির উদ্দিন ও ওই প্রভাবশালী চক্রটি কোনো পাত্তা দিচ্ছে না। 

অবসরপ্রাপ্ত সহকারি শিক্ষক আছাদুজ্জামান বলেন, এই  নয় একর জমির সঙ্গে  থাকা সরকারি খাসজমি পৃথকীকরণের জন্য আমি দুই তিনবছর পূর্বে উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে আবেদন করেও কোনো সুফল পাইনি। আমি এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

অভিযুক্ত আফির উদ্দিন বলেন, আমাকে জড়িয়ে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট।

উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. রেদুয়ানুল হালিম বলেন, আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।

এসএ/বিএ-০২