সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
নভেম্বর ৩০, ২০২১
০১:১৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ৩০, ২০২১
০১:৫৬ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জ সদরের নয় ইউনিয়নের ফলাফলে ভরাডুবি হয়েছে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের। তিন ইউনিয়নে জামানত হারিয়েছেন দলের মনোনীতরা। নীতিমালা অনুযায়ী বৈধ ও বাতিলকৃত ভোটের আট ভাগের একভাগও পাননি এই চার প্রার্থী। এ কারণে তারা জামানত হারাবেন।
সরকারি দলের এই প্রার্থীরা হলেন মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনির উদ্দিন, কাঠইর ইউনিয়নের অ্যাডভোকেট মো. বুরহান উদ্দিন, গৌরারং ইউনিয়নের ছালমা আক্তার চৌধুরী ও সুরমা ইউনিয়নের মো. আব্দুস ছাত্তার।
উপজেলার কাঠইর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছিলেন করেছিলেন অ্যাডভোকেট মো. বুরহান উদ্দিন। এই ইউনিয়নে ৯০৫৮ ভোটার ভোট প্রদান করেছেন। জামানত ফিরে পেতে ১১৩২ ভোট পাওয়ার কথা তার। তিনি পেয়েছেন এক হাজার ৩০ ভোট। বিধি অনুযায়ী আট ভাগের এক অংশের থেকে কম ভোট পাওয়ায় জামানত হারাবেন তিনি।
মোল্লাপাড়া ইউনিয়নে জামানত হারিয়েছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির উদ্দিন। তিনি পেয়েছেন ৭৬৪ ভোট। ইউনিয়নে ১২ হাজার ২৬২ জন ভোটার ভোট প্রদান করেছেন। জামানত ফিরে পেতে তাকে ৯৮১ ভোট পেতে হয়। কম ভোট পাওয়ায় তিনি জামানত হারাবেন।
গৌরারং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছালমা আক্তার চৌধুরী জামানত হারিয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৯৫০ ভোট। নির্বাচনে ২০ হাজার ৩২৪ জন ভোটার ভোট প্রদান করেছেন। জামানত ফিরে পেতে তাকে ১৬২৬ ভোট পেতে হয়। কম ভোট পাওয়ায় তিনি জামানত হারাবেন।
সুরমা ইউনিয়নের জামানত হারিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আব্দুস ছাত্তার। তিনি পেয়েছেন ১৬৯৮ ভোট। তার ইউনিয়নে ১৬ হাজার ৫২০ জন ভোটার ভোট প্রদান করেছেন। জামানত ফিরে পেতে তাকে ২০৬৫ ভোট পেতে হয়। কম পাওয়ায় তিনি জামানত হারাবেন।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবুল কালাম বললেন, সুনামগঞ্জ সদরে দীর্ঘদিন বিএনপির উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যও নেই চার মেয়াদ হয়েছে। এই অবস্থায় সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। এতে তৃণমূল সমর্থকরাও দলের প্রতি বিমূখ। নতুন কর্মীও তৈরি হচ্ছে না। এ কারণে দলীয় প্রার্থীদের পরাজয় হয়েছে।
২৮ নভেম্বর তৃতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ সদর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই দুই উপজেলায় ১৭ ইউনিয়নের মাঝে কেবল দুইটিতে জয় লাভ করেছে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা। বাকী ১৫ টি ইউনিয়নে বিদ্রোহী, স্বতন্ত্র ও লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুরাদ উদ্দিন জানিয়েছেন, নির্বাচনে বৈধ অবৈধ কাস্ট হওয়া ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ কোন চেয়ারম্যান প্রার্থী না পেলে জামানত হারাবেন তিনি।
এসআর/আরসি-০৬