মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ১৫, ২০২১
০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ডিসেম্বর ১৫, ২০২১
০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন
আজকে আমরা বড় কঠিক সময় পার করছি। জাতির পিতার পরিকল্পনা কে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সোনার বাংলার দিকে অগ্রসর হচ্ছি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যেভাবে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছিলো বাংলাদেশকে। এখনো ঠিক ঐরকম যাতে সোনার বাংলাদেশ অগ্রসর হতে না পারে সেজন্য ষড়যন্ত্র করছে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মৌলভীবাজার শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মৌলভীবাজার- রাজনগর ৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ।
এমপি বলেন, আমরা এখন ঠিক মাঝামাঝি জায়গায় এসে পৌঁছেছি। এ থেকে যদি উত্তর না করতে পারি বঙ্গবন্ধুর মিশন সম্পন্ন হবে না। আর উত্তোরন করতে পারলে আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সোনার বাংলায় গিয়ে পৌছাবো। এই সময়ে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যেখানে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন মাসুদ এর সঞ্চালনায় জোল প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আজমল হোসেন।
বক্তব্য রাখেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) হাসান মোহাম্মদ নাছের রিকাবদার, বক্তব্য রাখেন নাট্যকার আব্দুল মতিন, বীরমুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি নেছার আহমেদ বলেন, একটি দেশ পরিচালনা করতে গেলে বুদ্ধিজীবীদের বিকল্প নেই। বাঙালি জাতিকে বিশ্বের দরবারে একটি দেশ হিসেবে পরিচিত করার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন তথাকথিত পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর উদ্যোগ নিয়ে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করে দাবিদাওয়া নিয়ে সংগ্রাম শুরু হয়। বাংলার শেষ নবাব নাকি সিরাজউদ্দৌলা। কতাটা মনে হয় ঠিক না। তিনি নিজে বাঙালি ছিলেন না। ইতিহাস পড়লে দেখা যায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজে একজন বাঙালি ছিলেন। এবং সর্বপ্রথম শুধু বাঙালি দেরকে নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করেন।
তিনি বলেন, আমাদের বিরোধী শক্তিরা যখন দেখে আর কিছু করার নেই। তখন তারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। আমরা যারা ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট এর পর রাস্তায় মিছিল করতে পারি নাই। আমাদের উপর লাঠিচার্জ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকে যারা তরান্বিত করেছেন, তারা কারা? তারা যদি এই প্রেক্ষাপট তৈরি না করতেন জামাতে ইসলাম বা স্বাধীনতা বিরোধি শক্তি জিয়া এবং আমাদের মধ্য থেকে মুশতাক। জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অনেক এমপি হয়ে মারা গিয়েছেন এরা সম্মিলিতভাবে সেদিন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছেন। এরাই হচ্ছে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি।
ওই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বিএনপি, জামাত কিন্তু ঘরে বসে নেই। তরা ঘরে বসে পরিকল্পনা করছে ষড়যন্ত্রের। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, সোনার বাংলা চাই। আমরা যারা এই দেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করতে চাই। সেইদিন আর বেশি দূরে নয়। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে যেকোনো কিছু মোকাবেলার জন্য। সেই দিন এসেছে, সেই সময় এসেছে।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে অদম্য গতিতে এবং এগিয়ে চলবেই। আমাদের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যার সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ হবে, যদি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে আমরা একত্র থাকি। এবং তাদের যে স্বপ্ন ছিলো, জাতির পিতার যে স্বপ্ন ছিলো দেশকে একদিন অগ্রগামী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। সেই জায়গায় আমরা যেন সবাই মিলে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।
সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, বুদ্ধিজীবীদরা একেকজন একেকটি বুলেট ছিলেন। তারা দেশের জন্য নিঃস্বার্থে কাজ করে গেছেন। এখন পাকিস্তানের যে অবস্থা, তারা আর উন্নতি করতে পারে নাই। জাতির জনকের কন্যার হাত ধরে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছি। সামনে আরও এগিয়ে যাবে।
সন্ধ্যায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে স্বাধীনতা স্তম্ভে ফুল দিয়ে ও মোমবাতি প্রজ্জলন করে শহীদদের স্মরণ করা হয়। পরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
এছাড়াও অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, পৌর মেয়র ফজলুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মুহিত টুটুসহ বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ, সাংবাদিক, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ।
এস এইচ/বি এন-০৯