শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ৩০, ২০২১
০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ডিসেম্বর ৩০, ২০২১
০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ থানার জয়কলস ইউনিয়নের চাঞ্চল্যকর লাল মিয়া হত্যা মামলার পলাতক ৭ আসামীকে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান(র্যাব)-৯ এর একটি টিম।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) ভোরে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান(র্যাব)-সুনামগঞ্জ-০৯ এর লে. কমান্ডার সিঞ্চন আহমেদ ও এএসপি মো. ইকরামুল আহাদের যৌথ নেতৃত্বে একটি অভিযানিক দল সুনামগঞ্জ সদর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে শান্তিগঞ্জ থানার জয়কলস ইউনিয়নের চাঞ্চল্যকর লাল মিয়া হত্যা মামলার পলাতক ৭ আসামীকে আটক করেন।
আটককৃতরা হলো জয়কলস গ্রামের মৃত আকল আলী প্রকাশ মাফিজ আলীর ছেলে মাহমদ আলী (৬০), রহিম আলীর ছেলে আসকির আলী (৪৫), মৃত শামছুদ্দিনের ছেলে মহিবুর রহমান (৪২), রহিম আলীর ছেলে সুরুজ আলী (৩৫), মৃত মাদা মিয়া প্রকাশ ওমর আলীর ছেলে মাসুক মিয়া (৪৫), ওয়াহিদ আলীর ছেলে সেলিম আহমদ (৩২), মৃত মাদা মিয়া প্রকাশ ওমর আলীর ছেলে ওয়াহিদ আলী (৪০)। পরে আটককৃত ব্যক্তিদেরকে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান(র্যাব) সুনামগঞ্জ-০৯ তাদেরকে শান্তিগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৬ অক্টোবর( শনিবার) দুপুরে জয়কলস গ্রামের আমির আলীর ছেলে সিএনজি চালক হেলাল মিয়া প্রতিবেশী শহীদ মিয়ার পক্ষের একটি গরুকে তাঁর সিএনজি গাড়ী দিয়ে সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহা সড়কের উপর ধাক্কা দেয়। এতে শহীদ মিয়া ও আবুল লেইছ পক্ষের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়।
পরদিন ১৭ অক্টোবর( রবিবার) সকাল-৯ টায় জয়কলস গ্রামবাসীর লোকজন জয়কলস পয়েন্টে উভয়পক্ষের লোকজনদের নিয়ে এক শালিস বৈঠকে বসে। শালিস বৈঠক চলাকালে শহীদ মিয়া ও আবুল লেইছ পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে জয়কলস গ্রামের মৃত ওয়ারিছ আলীর ছেলে লাল মিয়া নিহত হন। এঘটনায় নিহত লাল মিয়ার স্ত্রী মোছা. হোসনে আরা বেগম বাদী হয়ে শান্তিগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশের উপ পুলিশ পরিদর্শক মো. এমদাদুল হক জানান, আটককৃতদেরকে থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব। তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এস টি/বি এন-০৭