মাধবপুর প্রতিনিধি
জানুয়ারি ১৩, ২০২২
০২:২৬ অপরাহ্ন
আপডেট : জানুয়ারি ১৩, ২০২২
০৬:০৯ অপরাহ্ন
অবশেষে ক্লোজ হল মাধবপুর থানার আলোচিত-সমালোচিত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মমিনুল ইসলাম।
একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১২ জানুয়ারি) হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত এক আদেশে প্রশাসনিক কারনে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত হওয়ার আদেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, এস আই (নিরস্ত্র) মমিনুল ইসলাম ঘুরে ফিরে দেড় যুগের বেশি সময় মাধবপুর থানায় কর্মরত ছিলেন।
অতীতের সমালোচনার বিভিন্ন কর্মকান্ড ছাড়াও গত ৬ জানুয়ারি বাঘাসুরা ইউনিয়নের নির্বাচিত এক ইউপি সদস্যের গলায় টাকার মালা পড়িয়ে দেওয়ার বিষয়টি সচেতন মহলে আলোচনার ঝড় তুলেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৯৭ সালে কনস্টেবল পদে যোগদান করে। ২০০০ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত মাধবপুর থানায় প্রথমে ড্রাইভার পদে কর্মরত ছিল। এর পর জুনিয়র সেরেস্তা/ মুন্সি হিসেবে কাজ করেন।
মুন্সি থাকাবস্থায় এএসআই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা যাত্রাবাড়ী থানায় চলে যায়, সেখান থেকে ২০০৯ সালে আবার মাধবপুর থানায় যোগদান করেন। ২০১২ সালে এস আই পদে পদোন্নতি পেয়ে এসপিবিএন যোগদান করে ৬ মাস কর্মরত থেকে আবার পুনরায় মাধবপুরে চলে আসেন তিনি।
দীর্ঘ কয়েক বছর থাকার পর গত ২ বছর পূর্বে মাধবপুর থেকে সিলেট ওসমানীনগর থানায় যোগদান করেন। ওসমানীনগর থানায় কয়েক দিন পরই আবার ক্লোজ হন তিনি। পরে সিলেটের জকিগঞ্জ চৌকি আদালতে ন্যস্ত করা হয়েছিল।
সেখান থেকে মাস চারেক আগে আলোচিত-সমালোচিত এস আই মুমিনুল ইসলাম আবার মাধবপুরে চলে আসেন।
সর্বশেষ গত ৬ জানুয়ারি টাকার মালা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। প্রশাসনিক কারনে আজ পুলিশ সুপার তাকে ক্লোজ করেন। মাঝে মধ্যে এস আই মমিনুল ইসলামের বদলি হলেও বদল হয়নি তাঁর বাসা। মাধবপুর থানার সরকারী বাসায় প্রায় দেড় যুগ ধরে অবস্থান করেন তিনি। মাধবপুর থানায় নব যোগদানকৃত পুলিশ অফিসারগণ সরকারী বাসায় উঠতে না পেরে ব্যক্তিগত ভাবে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছেন।
ও সি/বি এন-০৬
