সিলেট মিরর ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২২
১২:০২ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২২
১২:০২ পূর্বাহ্ন
আগামী এক দশকের মধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস)। তাই সেখানে কর্মরত নভোচারীদের তার আগেই পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের নিয়ন্ত্রক মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’।
সিএনএন দাবি করছে, পুরোনো হয়ে যাবার কারণে মহাকাশ স্টেশনের দেহে অসংখ্য ফাটল দেখা দিচ্ছে। তাছাড়া পৃথিবীর কক্ষপথে জমা হওয়া নানা মহাকাশ বর্জ্যের (স্পেস ডেব্রি বা স্পেস জাঙ্ক) কারণে মহাকাশ স্টেশনে অবস্থানকারী নভোচরদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ২০৩১ সালে মহাকাশ স্টেশনটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাসা।
ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার উপরে পৃথিবীর কক্ষপথে মহাকাশ স্টেশনের অবস্থান। ভরশূন্য অবস্থায় সেটি ১৯৯৮ সাল থেকে দিন-রাতে প্রায় দেড় ঘণ্টা অন্তর এক বার করে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে।
স্টেশনটি বন্ধ করার পর সেটিকে আর পৃথিবীর কক্ষপথে রাখতে চায় না নাসা। কারণ সে ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে মহাকাশ বর্জ্যের পরিমাণ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ভবিষ্যতে মহাকাশযান এবং নভোচরদের বিপদের আশঙ্কা সে ক্ষেত্রে আরও বাড়বে। তাই মহাকাশ স্টেশনকে পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে বের করে প্রশান্ত মহাসাগরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডুবিয়ে দেওয়ার ভাবনা রয়েছে নাসার বিজ্ঞানীদের।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি বছরই কয়েক কোটি ডলার খরচ হয় নাসার। আমেরিকার করদাতাদের ভার কিছুটা কমাতে শেষ কয়েক বছর গবেষণার পাশাপাশি মহাকাশ স্টেশনটি বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহারেরও পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থাটির। এছাড়া মহাকাশে পর্যটন শিল্প এবং ফিল্ম স্টুডিয়ো গড়ে তোলার প্রস্তাবও রয়েছে তাদের কাছে। এর আগে গত ডিসেম্বরে নাসা জানিয়েছিল, মহাকাশ স্টেশনের বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য তিনটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে তাদের।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে রাশিয়া পৃথিবীর কক্ষপথে ভাসমান বাতিল গোয়েন্দা উপগ্রহ ‘কসমস-১৪০৮’-কে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। প্রচণ্ড বেগে ঘুরতে থাকা কসমসের ভাঙা টুকরোগুলোর কারণে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়।
আরসি-০৮