ধর্মপাশা প্রতিনিধি
মার্চ ১৩, ২০২২
১০:৪৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মার্চ ১৩, ২০২২
১০:৪৫ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের নলগড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. বিদ্যা মিয়া ওরফে ওলি (১০) ও মো. সুজাত মিয়া (১১) নামের দুজন শিশু গত আটদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে।
ওই দুজন শিশু উপজেলার নলগড়া বাইতুল কোরআন নূরানীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। ওই দুজন তাঁদের পরিবারের স্বজনেরা দুশ্চিন্তায় এবং চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে দিনযাপন করে আসছেন।
ধর্মপাশা থানা পুলিশি ও নিখোঁজ থাকা ওই দুজন মাদ্রাসা ছা্ত্রের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের নলগড়া গ্রামের মৃত কডু মিয়ার ছেলে সুজাত মিয়া সাড়ে তিনবছর আগে নিজ গ্রামের নলগড়া বাইতুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। সে বর্তমানে হেফজ বিভাগে পড়াশুনা করছে।
একই গ্রামের কৃষক আবদুর রাশিদের (৫৫) ছেলে মো. বিদ্যা মিয়া ওরফে ওলি ওই মাদ্রাসায় তিন মাস আগে ভর্তি হয়। সে কায়দা পড়ছে। চলতি বছরের ৬মার্চ বেলা দুইটার দিকে ওই দুজন শিক্ষার্থী মাদ্রাসা ছুটি শেষে নিজ নিজ বাড়িতে যায়। ওইদিন বিকেল চারটার দিকে সুজাত তাঁর মা আমেনা বেগম (৫০) কে টুপি কেনার কথা বলে নিজ বাড়ি থেকে ধর্মপাশা বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।
একইদিন বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ওলি তাঁর মা সুফিয়া আক্তার (৪০)কে নিজ গ্রামের মাঠে খেলাধুলা করার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়। কিন্তু সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেও তারা দুজন বাড়ি না ফেরায় ওই দুজনের পরিবারের লোকজনদের সন্দেহ হলে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন । কিন্তু কোনো সন্ধ্যান না পাওয়ায় গত ৯ মার্চ সন্ধ্যায় বিদ্যা মিয়া ওরফে ওলির বাবা আবদুর রাশিদ ও সুজাতের বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়া (২৪) এ নিয়ে থানায় পৃথক সাধারণ ডায়েরি করেন। ডায়েরি নম্বর যথাক্রমে ৩৩০/২২ ও ৩৩১/২২।
বিদ্যার বাবা কৃষক আবদুর রাশিদ বলেন, ৬মার্চ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে খেলাধুলা করার কথা কইয়া আমার ছেলে বিদ্যা আর বাড়ি ফেরে নাই। আমার ছেলেরে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজতাছি ,কিন্তু হাইতাছি না। এই চিন্তায় আমার স্ত্রী সুফিয়া নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিয়ে দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
সুজাতের বড় ভাই বাবুর্চি উজ্জ্বল মিয়া বলেন,আমার ছুডু ভাইরে খুঁইজা না ফাইয়া আমার মা আমেনা বেগমসহ কারও চোউকে ঘুম নাই। হের চিন্তায় পরিবারের কুনু সদস্যই ভালা কইর্যা খাওন খাইতে হারে না। অহন কই যে হেরে গেলে ফাইয়াম,তা ওফুর ওয়ালাই জানেন।
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ধর্মপাশা থানায় পৃথক পৃথক দুটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন থানায় বার্তাও পাঠানো হয়েছে। নিখোঁজ হওয়া ওই দুজন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর সন্ধ্যানের জন্য আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এস এ/বি এন-১২