সিলেট মিরর ডেস্ক

মার্চ ১৫, ২০২২
১২:১২ অপরাহ্ন

আপডেট : মার্চ ১৫, ২০২২
০৪:৪৮ অপরাহ্ন

দুই বছর পর আবারও মাধ্যমিক পর্যায়ে শুরু হলো পুরোদমে শ্রেণি কার্যক্রম। একই সঙ্গে প্রাক-প্রাথমিকেও সশরীরে পাঠদান পুরোপুরি শুরু হয়েছে। এতে করোনার ছোবলে প্রাণহীন হয়ে পড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফিরে পেল প্রাণচাঞ্চল্য।

টানা দুই বছর বন্ধ থাকার পর প্রাক-প্রাথমিকে মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) থেকে আবারও সশরীরে পাঠদান শুরু হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা গেছে সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে আসতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তাদের মধ্যে ছিল খুশির ঝিলিক। খুশি দেখা যায় শিক্ষক-অভিভাবকদেরও।

২০২০ সালের ১৭ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর দুই দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। প্রথম দফায় প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করে শিক্ষাঙ্গনের দুয়ার।

সশরীরে ক্লাস শুরু হয় মাধ্যমিক স্কুলে। এরপর কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে। সবার পর সশরীরে ক্লাস শুরু হয় প্রাথমিকে।

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে দ্বিতীয় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে ক্লাস বন্ধ করে দেয়া হয় গত ২১ জানুয়ারি। এ দফায় শিক্ষাঙ্গনে সশরীরে ক্লাস বন্ধ থাকে এক মাস।

২২ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষাঙ্গনগুলো আবার প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে। আর ২ মার্চ থেকে শুরু হয় প্রাথমিকে সশরীরে ক্লাস। টানা দুই বছর বন্ধের পর ১৫ মার্চ থেকে প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস শুরুর ঘোষণা দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর সপ্তাহে প্রতিদিন ক্লাস করছিলেন এসএসসি পরীক্ষার্থী ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। তবে তাদের সব বিষয়ের ক্লাস হচ্ছিল না। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের চারটি ও দশম শ্রেণিতে তিনটি বিষয়ে ক্লাস হচ্ছিল। এ ছাড়া অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে সপ্তাহে দুই দিন তিন বিষয়ে এবং ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে এক দিন তিন বিষয়ের ক্লাস চালু ছিল।

একই সঙ্গে প্রাথমিকেও শুধু পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ছয় দিন ক্লাসে আসছিল। আর তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে দুই দিন ক্লাসে অংশ নেয়। অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে এক দিন ক্লাসে অংশ নেয়।

উল্লেখ্য, ক্লাস শুরু হলেও এখনই প্রতিদিন ক্লাসে আসবে না প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির শিশুরা। সপ্তাহে দুই দিন (রোববার ও মঙ্গলবার) ক্লাসে অংশ নেবে তারা।

আরএম-০৩