সিলেট মিরর ডেস্ক
মার্চ ২৪, ২০২২
০১:৫৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মার্চ ২৪, ২০২২
০১:৫৭ পূর্বাহ্ন
মিয়ানমারে কারাভোগ শেষে ৪১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। তাদের মধ্যে একজন মৌলভীবাজারের বাসিন্দাও রয়েছেন।
আজ বুধবার (২৩ মার্চ) বিকেলে তারা টেকনাফে পৌঁছান।
এর আগে দুপুরের দিকে মিয়ানমারের মংডু টাউনশিপে বিজিবি এবং মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়। এরপর ৪১ বাংলাদেশিকে বিজিবি প্রতিনিধিদলের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিকেলে বিজিবি প্রতিনিধি দল এসব বাংলাদেশিকে নাফ নদী পার হয়ে টেকনাফে নিয়ে আসে।
নাফ নদীর পাড়ে টেকনাফ জেটি ঘাটে পৌঁছে বিজিবি টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার জানান, গত বছরের মে মাস থেকে ৪১ জন বাংলাদেশি মিয়ানমারের রাখাইন স্টেটের বিভিন্ন কারাগারে সাজাভোগ করার পর দেশটিতে অত্যন্ত অমানবিক জীবনযাপন করছিল।
বিষয়টি জানার পর বাংলাদেশ সরকারের স্বরাস্ত্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিজিবি এবং মিয়ানমারের সিতওয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কনস্যুলেট তাদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেয়।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মিয়ানমারের মংডুতে বিজিবি এবং বিজিপির মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে ৪১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবি প্রতিনিধিদলের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিজিবি অধিনায়ক ব্রিফিংয়ে আরও জানান, বাংলাদেশি এসব নাগরিকরা বিভিন্ন সময়ে সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে মিয়ানমারে প্রবেশের অভিযোগে বিজিপির হাতে গ্রেপ্তার হয়। পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। দুই দেশের প্রতিনিধিদল পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, প্রগতিশীল উন্নতি এবং দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
ব্রিফিংয়ে বিজিবি অধিনায়ক জানান, পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা ৪১ জন বাংলাদেশিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সহায়তায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরে তাদের স্ব স্ব পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে ২৩ জন টেকনাফ উপজেলার, ২ জন উখিয়া উপজেলার, ৭ জন রাংগামাটি জেলার, ৭ জন বান্দরবান জেলার, ২ জন খাগড়াছড়ি জেলার এবং ১ জন মৌলভীবাজার জেলার বাসিন্দা। তাদের মধ্যে একজন নারীও রয়েছে, যিনি মিয়ানমারের রাখাইন স্টেটে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে দেশটির পুলিশের হাতে আটক হয়ে কারাভোগ করেন।
বাকিদের অধিকাংশই জেলে। তারা নাফ নদীতে মাছ শিকার করতে গিয়ে মিয়ানমার পুলিশের হাতে আটক হন। ফেরত আসা বাংলাদেশিদের মধ্যে কেউ কেউ মিয়ানমারের কারাগারে সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাভোগ করেন।
আরসি-০৯