সিলেট মিরর ডেস্ক
মার্চ ২৭, ২০২২
০২:৩৪ অপরাহ্ন
আপডেট : মার্চ ২৭, ২০২২
০৫:১০ অপরাহ্ন
পাঁচদিন বন্ধ রাখার পর শনিবার থেকে পুনরায় অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এ বিক্রির কার্যক্রম শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায়। এতে গ্রাহক ভোগান্তি চরমে পৌঁছে।
রেলওয়ের ই-টিকেটিং সার্ভিস প্রোভাইডার পরিবর্তন করে নতুন কোম্পানি ‘সহজ’কে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আজ রবিবার (২৭ মার্চ) এ নিয়ে রেল ও সহজ কর্তৃপক্ষের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
এতদিন সিএনএস এই টিকিট ব্যবস্থাপনায় থাকলেও গতমাসে নতুন করে সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি-র সঙ্গে যৌথভাবে টিকিটিং সিস্টেম চালুর চুক্তি করে রেলওয়ে। সেই হিসাবে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে নতুন নিয়মে।
শনিবার (২৬ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে সহজডটকম যৌথভাবে ই-টিকেটিং চালু করলেও যাত্রীদের ব্যাপক হিটে কয়েক মিনিটেই তা অচল হয়ে যায়। এতে বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হয়ে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। ওটিপি, ওয়েবসাইট লোডিং ও সার্ভার সমস্যার কারণে অচলাবস্থা তৈরি হয় রেলের টিকিটিং সিস্টেমে।
এ বিষয়ে রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত বলেন, আগের অ্যাপটির মালিকানা ছিল সিএনএসের। এ জন্য নতুন অ্যাপ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। টিকিট বিক্রির অনলাইন ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে রোববার সহজ ডটকমের সঙ্গে বিস্তারিত বৈঠক হবে।
জানতে চাইলে সহজের জনসংযোগ বিভাগের ব্যবস্থাপক ফারহাত আহমেদ বলেন, আগের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএনএস রেলের অ্যাপ বুঝিয়ে দেয়নি। এ জন্য অ্যাপে টিকিট বিক্রি বন্ধ আছে। আর অনলাইনে টিকিট বিক্রির সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার সিএনএস শেষ সময় বুঝিয়ে দেয়। এরপরও সহজ ডটকম নিজেদের সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার বসিয়ে অনলাইন টিকিট কার্যক্রম চালু করে। কিন্তু শনিবার মিনিটে ২২ লাখ হিট বা ভিজিট হওয়ার পর সমস্যা দেখা দেয়।
শুধু অনলাইনে এই অচলাবস্থাটা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন স্টেশনে কম্পিউটারাইজ প্রোগ্রামে কোনো সমস্যা হয়নি। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত আমরা দেশের ৭৭টা স্টেশনে কম্পিউটারাইজ পদ্ধতিতে প্রায় ৪১ হাজার টিকিট বিক্রি করেছি।
সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি যৌথভাবে টিকিটিং সিস্টেম তৈরি করেছে। চলতি বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি সহজ-এর সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিটিং সিস্টেম পরিচালনার জন্য পাঁচ বছর মেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাস-লঞ্চ টিকিট বিক্রি করার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সহজ ১৫ বছর ধরে ব্যবহৃত রেল টিকিটিং সিস্টেমের আদলে একটি সমমানের পদ্ধতি মাত্র ২১ কর্মদিবসে তৈরি করেছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ রেলওয়েতে ১৯৯৪ সালে কম্পিউটার ভিত্তিক টিকিটিং সিস্টেম চালু করা হয়। ২৭টি স্টেশনে কম্পিউটারের মাধ্যমে টিকিট ইস্যু করা হতো। বর্তমানে ১০৪টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ৭৭টি স্টেশনে কম্পিউটারের মাধ্যমে ইস্যু করা হচ্ছে। দৈনিক প্রায় ৯০ হাজার ও মাসিক প্রায় ২৭ লাখ যাত্রীর টিকিট কম্পিউটারের মাধ্যমে ইস্যু করা হয়। এসব টিকিটের ৫০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১৩ লাখ টিকিট অনলাইনে ইস্যু করা হচ্ছে।
সূত্রঃ ঢাকা মেইল
আরসি-০৩