রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্ভাব্য লেনদেন নিয়ে হতাশ যুক্তরাষ্ট্র

সিলেট মিরর ডেস্ক


মার্চ ৩১, ২০২২
০২:৪৫ অপরাহ্ন


আপডেট : মার্চ ৩১, ২০২২
০২:৪৫ অপরাহ্ন



রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্ভাব্য লেনদেন নিয়ে হতাশ যুক্তরাষ্ট্র

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এ আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছিল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে। ওই প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে রাশিয়া।

পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে চাপের মুখে থাকা রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সারগেই লাভরভ বৃহস্পতিবার দিল্লি সফরে এসেছেন। তিনি ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ইস্যুসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন। সম্ভাব্য এ আলোচনার কঠোর সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা এটাকে ‘অত্যন্ত হতাশাজনক’ বলে বর্ণনা করেছে।

দিল্লিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বৃহস্পতিবার বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার প্রভাবকে দুর্বল করে দেয়-রাশিয়ার দেওয়া এমন একটি প্রস্তাব বিবেচনাধীন রাখায় ভারতের সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া।

স্থানীয় সময় বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রায়মন্ড রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের প্রতিনিধিদের সম্ভাব্য বৈঠকের সমালোচনা করেন। এ আয়োজনের খবরকে তিনি ‘গভীরভাবে হতাশাজনক’ বলে উল্লেখ করেন।

জিনা রায়মন্ড বলেন, ‘এখন সময় এসেছে ইতিহাসের একেবারে পাশে দাঁড়ানোর; যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের কয়েক ডজন মিত্র দেশের সঙ্গে দাঁড়ানোর; ইউক্রেনের জনগণের সাথে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে দাঁড়ানোর। এটা প্রেসিডেন্ট পুতিনের যুদ্ধে অর্থায়ন ও ইন্ধন দেয়া বা সহায়তা করার সময় নয়।’

ভারতের সমালোচনা এসেছে অস্ট্রেলিয়া সরকারের পক্ষ থেকেও। দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গণতান্ত্রিক দেশগুলোর জন্য এটা জরুরি যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গণতন্ত্রের জন্য সবাইকে নিয়মভিত্তিক একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন।

এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের আধিপত্য মোকাবেলা করতে গণতান্ত্রিক দেশগুলোর জোট কোয়াডের মধ্যে ভারতকে নিয়ে যে অস্বস্তি দেখা যাচ্ছে, এসব মন্তব্য তারই প্রতিফলন। কোয়াড জোটের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানও রয়েছে। বিশ্বে রুশ অস্ত্রের বৃহত্তম ক্রেতা ভারত এবং জ্বালানির দাম বৃদ্ধির মধ্যে তারা রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কেনারও চেষ্টায় রয়েছে।

বৃহস্পতিবার আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, বাণিজ্য চালিয়ে যেতে রুপি ও রুবলের ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করছে ভারত ও রাশিয়া।

ইতোমধ্যে পশ্চিমের দেশগুলো ডলারের ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ প্রেক্ষাপটে রাশিয়া জানিয়েছে, ‘অবন্ধু’ দেশগুলোর কাছে তারা রুবলের বিনিময়ে তেল বা গ্যাস বিক্রি করবে।

রাশিয়া ডলারের বিকল্প হিসেবে রুবলকে (রুশ মুদ্রা) দাঁড় করাতে চাচ্ছে। চুক্তি হলে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য হবে রুবল ও রুপি দিয়ে।

আরসি-০৪