করোনায় হিমশিম খাচ্ছে সাংহাই

সিলেট মিরর ডেস্ক


এপ্রিল ০৩, ২০২২
০২:১৩ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ০৩, ২০২২
১২:২৫ অপরাহ্ন



করোনায় হিমশিম খাচ্ছে সাংহাই

চীনের বৃহত্তম শহর ও প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র সাংহাইয়ে করোনা সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে, তাতে সেখানে মহামারির আরেকটা ঢেউ আঘাত করেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে সর্বশেষ ঢেউয়ের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর করোনায় নতুন কারো মৃত্যুর ঘোষণা দেয়নি সাংহাই কর্তৃপক্ষ।

সাধারণ হাসপাতালগুলোয় বাড়ছে করোনা রোগীর ভিড়, বয়স্ক সেবা কেন্দ্রের অবস্থা আরো বেহাল, সেই সঙ্গে আরেক সংকট দেখা দিয়েছে কর্তৃপক্ষের এক সিদ্ধান্তে। করোনায় আক্রান্ত শিশুদের মা-বাবার কাছ থেকে আলাদা করে অন্য হাসপাতালে রাখছে কর্তৃপক্ষ।

বয়স্ক সেবা কেন্দ্রগুলোর পরিস্থিতি তুলে ধরতে গিয়ে দংহাই এলডারলি কেয়ার হাসপাতালের চিত্র তুলে ধরে বিবিসি। সাংহাই শহরের পুদং এলাকার ওই হাসপাতালে কর্মরত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছে সংবাদমাধ্যমটি। হাসপাতালকর্মীরা বলছেন, পরিস্থিতি শোচনীয় এবং বয়স্ক রোগীদের বাঁচাতে তাঁরা প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। ওই রোগীদের মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে কভিডেই তাদের মৃত্যু হয়েছে কি না, তা কর্মীরা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না।

 একজন নার্স বলেন, তিন সপ্তাহ আগে এই হাসপাতালে করোনা সংক্রমণের বিষয়টি ধরা পড়ে। সংক্রমণ ঠেকাতে নগর কর্তৃপক্ষের বিশেষজ্ঞদল চেষ্টা করে যাচ্ছে।

হাসপাতালের আরেক কর্মী বলেন, তিনি এক রোগীকে মরতে দেখেছেন এবং শুনেছেন তাঁর এক সহকর্মী আরেক মৃত রোগীকে সামলেছিলেন। তবে করোনায় তাদের মৃত্যু হয়েছে কি না, তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। কারণ এখানে মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। এক সহকর্মীর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন’ নতুন সংক্রমণের কারণে দিন দিন পরিস্থিতি ‘আরো খারাপ’ হচ্ছে।

ওই নার্স দাবি করেন, সাংহাই কর্তৃপক্ষের পাঠানো চিকিৎসা সরঞ্জাম ও বিশেষজ্ঞদল উভয়ই সংক্রমিত ছিল। এখানে শত শত মানুষ সংক্রমিত হয়েছে।


শিশুদের আলাদা করা হচ্ছে

গত ২৬ মার্চ জ্বরে ভুগতে থাকা আড়াই বছরের মেয়েকে নিয়ে সাংহাইয়ের একটি হাসপাতালে এসেছিলেন এসথার ঝাও। তিন দিন পর তাদের দুজনেরই করোনা শনাক্ত হয়। সন্তানকে তাঁর কাছ থেকে আলাদা না করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করলে চিকিৎসকরা হুমকি দেন, সন্তানকে নির্ধারিত কেন্দ্রে না পাঠালে তাঁকে এই হাসপাতালে রেখেই ঝাওকে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে পাঠানো হবে। এরপর তিনি মেয়েকে শিশুদের নির্ধারিত কেন্দ্রে পাঠান। তিনি শুধু এটুকুই শুনেছেন, তাঁর সন্তান ভালো আছে।

কিন্তু সাংহাইয়ের এক শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শিশুদের কান্নারত কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর থেকে ঝাওয়ের উদ্বেগ বাড়ছে।  

বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, করোনার কারণে তিন মাসের দুগ্ধপোষ্য শিশুকে পর্যন্ত মায়ের কাছ থেকে আলাদা করে ফেলা হচ্ছে, অথচ এসব শিশুর দেখভাল করার জন্য পর্যাপ্ত জনবল ওই সব কেন্দ্রে নেই। এসব তথ্যে সাংহাইবাসীর ক্ষোভ ক্রমে বাড়ছে। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স


এএফ/০৩