বড়লেখায় ইউনিক আইডির জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ

বড়লেখা প্রতিনিধি


এপ্রিল ০৫, ২০২২
০৪:১৬ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ০৬, ২০২২
০১:৪৪ পূর্বাহ্ন



বড়লেখায় ইউনিক আইডির জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার ছোটলেখা উচ্চ বিদ্যালয়ে ইউনিক আইডি তৈরির জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের অভিযোগ, কোনো শিক্ষার্থী ইউনিক আইডি ফরমের ফটোকপি পূরণ করে জমা দিলে তা ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া অষ্টম ও দশম শ্রেণির শির্ক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড প্রদানে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হচ্ছে। এতে তাদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা গত সোমবার (৪ এপ্রিল) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্ট্যাবলিশমেন্ট অফ ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশনাল ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইইআইএমএস) প্রকল্পের আওতায় ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মৌলিক ও শিক্ষাসংক্রান্ত সব তথ্য থাকবে। শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে এই আইডি জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) রূপান্তরিত হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের কোনো নিয়ম নেই। 

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ইউনিক আইডির জন্য উপজেলার ছোটলেখা উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের হাতে ইউনিক আইডির ফরম ধরিয়ে দিয়ে ৩০ টাকা করে নিচ্ছে। যদিও এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের কোনো নিয়ম নেই। এছাড়া অষ্টম ও দশম শ্রেণির শির্ক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড প্রদানে ৫০ টাকা করে ফি আদায় করা হচ্ছে।  

অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর অভিভাবক সিরাজ উদ্দিন, জাহেদ আহমদ, রঞ্জন কর, মস্তুাব উদ্দিন, গোলজার আহমদ ও ফাতিমা বেগম প্রমুখ বলেন, অন্য বিদ্যালয়ে টাকা ছাড়া শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি ফরম দেওয়া হচ্ছে। শুধু ছোটলেখা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। কোনো শিক্ষার্থী ফরমের ফটোকপি পূরণ করে জমা দিলে তা ফেলে দেওয়া হচ্ছে। অষ্টম ও দশম শ্রেণির শির্ক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড প্রদানে অতিরিক্ত ফি নেওয়া হচ্ছে।  

এদিকে ইউনিক আইডি ফরমের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করেছেন ছোটলেখা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উসমান আলী। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি বলেন, ইউনিক আইডি ফরম পূরণ ও অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি করতে আমরা একজন লোকে রেখেছি। এছাড়াও আমাদের এমবি কিনতে হচ্ছে। বিদ্যালয় কমিটিকে বলেই আমরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছি। ইউনিক আইডি ফরমের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের কোনো নিয়ম আছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। 

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাওলাদার আজিজুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে বলেন, ইউনিক আইডি ফরমপূরণ ও অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি করতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কোনো বিধান নেই। কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টাকা আদায় করলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি।  


এ.জে /বি এন-১১