নিজস্ব প্রতিবেদক
এপ্রিল ০৯, ২০২২
০৫:৫৯ অপরাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ০৯, ২০২২
০৫:৫৯ অপরাহ্ন
যথাযথ মর্যাদায় সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। শনিবার (৯ এপ্রিল) সকালে নাগরিক মৈত্রীর আয়োজনে নগরের বুদ্ধিজীবি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সংক্ষিপ্ত সভার মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়। এ সময় বক্তারা শহীদ অধ্যাপক ডা. শামসুদ্দিন আহমেদ, ডা. শ্যামল কান্তি লালাসহ ৯ এপ্রিলের সব শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানান।
নাগরিক মৈত্রীর আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সমর বিজয় সী শেখরের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিমের পরিচালনায় পুষ্পস্তবক অর্পণের আগে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাভভোকেট এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল-আজাদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাজিয়া চৌধুরী, আইডিয়ার নির্বাহী পরিচালক নাজমুল হক, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিলেট বিভাগের সমস্বয়ক অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমন, বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনির উদ্দিন, কিডনী ফাউন্ডেশনের কো-অর্ডিনেটর ফরিদা নাসরিন, সদস্য ডা. নাজরা চৌধুরী, প্রজেক্ট ম্যানেজার সুমন বাসিত, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুহিবুর রহমান, যুব ইউনিয়ন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন দাস খোকন, প্রভাষক রাজীব চৌধুরী, আইনজীবী দেবব্রত চৌধুরী লিটন, ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলা সংসদের সভাপতি দীপঙ্কর সরকার, সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান প্রান্তিক, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফুল আলম নাসির প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘ডা. শামসুদ্দিন আহমদ, ডা. শ্যামল কান্তি লালসহ অন্যান্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই সেসময় যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাসহ সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। এ সময় তারা ব্লাড ব্যাংকের পাশাপাশি তৈরি করেছিলেন বিশেষ মেডিকেল টিম। ১৯৭১ সালের ৯ এপ্রিল হাসপাতালে আক্রমণ করে পাকিস্তানি হানাদান বাহিনী নৃশংসভাবে অনন্ত ৭ জনকে হত্যা করে। ইতিহাসে এটি প্রথম কোনো হত্যাকান্ড যেখানে কর্তব্যরত অবস্থায় চিকিৎসক, নার্স ও সংশ্লিষ্টদের হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু ৫১ বছর পরও স্বীকৃতি পাননি অকুতোভয় সেই মানবতার যোদ্ধারা। তাই আমাদের একটিই দাবি একাত্তরের ৯ এপ্রিলের হত্যাকাণ্ডে ডা. শামসুদ্দিন, ডা. শ্যামল কান্তি লালাসহ যারা শহীদ হয়েছিলেন তাদের সবাইকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হোক।’ পরে নাগরিক মৈত্রী, কিডনি ফাউন্ডেশন, বাপা, ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।