সিলেট মিরর ডেস্ক
এপ্রিল ১৪, ২০২২
১১:৫১ অপরাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ১৪, ২০২২
১১:৫৭ অপরাহ্ন
পয়লা বৈশাখ বাঙালির সবচেয়ে বৃহত্তম সার্বজনীন উৎসব। সর্বস্তরের মানুষ হৃদয়ের টানে, বাঙালিয়ানার টানে মিলিত হয় এ উৎসবে।
এ দিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। করোনা ক্রান্তি শেষে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রুতির উদ্যোগে প্রতিবারের মত বাংলা নতুন বছর ১৪২৯-কে বরণ করে নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১লা বৈশাখ) ব্লু-বার্ড স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে সূর্যোদয়ের পর তুমুল বৃষ্টির মধ্যে শুরু হয় নতুন বছরকে বৃষ্টিস্নাত আহ্বান। এসময় মাটির টানে শিকড়ে ফিরে চলার উদাত্ত আহ্বান ধ্বনিত হয় সম্মিলিত কণ্ঠে।
পরে ‘শ্রুতি সম্মাননা ১৪২৮ বাংলা’-এর গুণীজনের নাম ঘোষণা করা হয়। এবছর শ্রুতি সম্মাননা পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী ডালিয়া আহমেদ।
অর্ধদিবস ব্যাপী শ্রুতির বর্ষবরণ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিনহা। উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাই কমিশন সিলেট-এর সহকারী হাই কমিশনার নিরাজ কুমার জয়সওয়াল, উপ পুলিশ কমিশনার ফয়সাল মাহমুদ, শাবিপ্রবির শেখ হিমাদ্রী শেখর রায়, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট-এর সভাপতি আমিনুল ইসলাম লিটন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শামসুল আলম সেলিম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেট-এর সাধারণ সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তী, এসএমসি সিলেট-এর গৌতম দেব, শ্রুতি সমন্বয়ক সুমন্ত গুপ্ত, কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী মাহমুদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রুতির সদস্য সচিব সুকান্ত গুপ্ত। সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন- বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ ও চিরন্তন প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ।
আবহমান কাল থেকে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিশে পহেলা বৈশাখ
আনন্দময় ও উৎসবমুখী হয়ে ওঠেছে। পহেলা বৈশাখ সকল
ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি, পেশা ও বয়সের মানুষের মাঝে নতুন প্রাণের সঞ্চার
ঘটায়।
অর্ধদিবসব্যাপী আয়োজনে সমবেত সংগীত এবং নৃত্য পরিবেশন করে অনুষ্ঠান আয়োজক শ্রুতি-সিলেট, জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ সিলেট, গীতবিতান-বাংলাদেশ, দ্বৈতস্বর, ছন্দনৃত্যালয়, সুরের ভূবন, ভাবুক, ললিত মঞ্জরী, প্রমা দেবী ও তার দল, নৃত্যাঞ্জলি, অনির্বান শিল্পী সংগঠনসহ আরও অনেকেই। একক সংগীত পরিবেশন করেন পার্থ প্রদীপ মল্লিক, খোকন ফকির, ইকবাল সাই, লিংকন দাশ প্রমুখ।
আরএম-০২