গোয়াইনঘাটে দুই যুবকের লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক


এপ্রিল ১৫, ২০২২
০৯:১৫ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১৫, ২০২২
০৯:১৫ অপরাহ্ন



গোয়াইনঘাটে দুই যুবকের লাশ উদ্ধার

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায়  ১২ ঘণ্টার ব্যবধান দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার জাফলং সংগ্রামপুঞ্জি  এলাকা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মুক্তার হোসেন (২০) নামে একজনের এবং একই দিন বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার তোয়াকুল ইউনিয়নের পেকের খাল থেকে ছুরিকাঘাতে নিহত কাউছার মিয়া (২৬ নামে অপর যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে মুক্তার হোসেন উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নের ভিতরগুল গ্রামের মৃত কুটু মিয়ার ছেলে। তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন করতেন। তাঁর গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত আরেকজন মো. কাউছার মিয়া সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কালাম বহরপুর গ্রামের আবদুল বাছিতের ছেলে। তাঁর লাশটি হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ছিল।

পুলিশ জানায়, গতকাল রাতে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে পুলিশ খবর পায় জাফলং সংগ্রামপুঞ্জি বিজিবি ক্যাম্পের প্রায় পাঁচশত গজ পূর্বে একটি টিলাসংলগ্ন জমিতে এক যুবকের লাশ পড়ে আছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সিলেট জেলা পুলিশের গোয়াইনঘাট সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার প্রবাস কুমার সিংহ, গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউছার মিয়ার লাশ উদ্ধার করেন। পরে লাশটি সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এর আগে গতকাল দুপুরে তোয়াকুল ইউনিয়নের পেকের খালে একটি লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মুক্তার হোসেনের লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, পেকের খাল এলাকায় লোকজনের যাতায়াত কম। ওই তরুণকে পরিকল্পিতভাবে ওই নিরিবিলি স্থানে নিয়ে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তাঁর মাথায় ক্ষতচিহ্ন আছে। ঘটনাস্থলের পাশ থেকে মুক্তার হোসেনের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মুক্তার হোসেন ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন। গত বুধবার ইফতারের পর থেকে তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। রাতে মুক্তারের ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও বন্ধ ছিল।

ওসি কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, জাফলং থেকে হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। অপর ঘটনায় ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। দুটি ঘটনায় পুলিশের তদন্ত চলছে। তবে দুই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। নিহত ব্যক্তিদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আজ শুক্রবার লাশ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।


এএফ/০১