কমল এলপিজির দাম, ১২ কেজির সিলিন্ডার ১৩৩৫ টাকা

সিলেট মিরর ডেস্ক


মে ০৬, ২০২২
০৪:৪৭ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ০৮, ২০২২
০২:৩৩ পূর্বাহ্ন



কমল এলপিজির দাম, ১২ কেজির সিলিন্ডার ১৩৩৫ টাকা

টানা তিন মাসে তিনবার দাম বৃদ্ধির পর এবার বেসরকারি পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম কমানো হলো। ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১০৪ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।  একই সঙ্গে কমানো হয়েছে পরিবহনে ব্যবহৃত এলপিজি বা অটোগ্যাসের দামও। 

আজ বৃহস্পতিবার বিইআরসির ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সমন্বিত দাম ঘোষণা করা হয়। পরে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তিতে আকারে দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সমন্বিত দাম আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কার্যকর হবে। 

বিইআরসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চলতি মে মাসের জন্য সৌদি আরামকো প্রোপেন এবং বিউটেনের সৌদি সিপি যথাক্রমে প্রতি টন ৮৫০ ডলার এবং ৮৬০ ডলার এবং প্রোপেন ও বিউটেনের মিশ্রণ অনুপাত ৩৫:৬৫ অনুযায়ী গড় সৌদি সিপি প্রতি টন ৮৫৬ দশমিক ৫০ ডলার নির্ধারণ করেছে। সেটি বিবেচনায় মে মাসের বেসরকারি এলপিজি ও অটোগ্যাসের ভোক্তা পর্যায়ের মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।

সমন্বিত দাম অনুযায়ী, প্রতি কেজি এলপিজির দাম ১১৯ টাকা ৯৪ পয়সা থেকে কমিয়ে মূসকসহ ১১১ টাকা ২৬ পয়সা করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি কেজিতে ৮ টাকা ৬৮ পয়সা দাম কমেছে। এতে প্রতি ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৩৯ টাকা থেকে কমে দাঁড়াল ১ হাজার ৩৩৫ টাকা।

আর অটোগ্যাসের দাম প্রতি লিটার ৬৭ টাকা ২ পয়সা থেকে কমিয়ে মূসকসহ ৬২ টাকা ২১ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে এলপিজির দাম গত এপ্রিলে ১ হাজার ৩৯০ টাকা দশমিক ৫৬ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৩৯ টাকা এবং মার্চে প্রতি ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৯০ টাকা দশমিক ৫৬ পয়সা করা হয়। 

আর ফেব্রুয়ারিতে প্রতি কেজি এলপিজি ৯৮ টাকা ১৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০৩ টাকা ৩৪ পয়সা করেছিল বিইআরসি। ওই সময় ১২ কেজির দাম ১ হাজার ১৭৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ২৪০ টাকা করা হয়। 

নতুন সমন্বয় অনুযায়ী, বাসাবাড়িতে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত (রেটিকুলেটেড) এলপিজির দামও কমানো হয়েছে। প্রতি কেজি ১১৬ টাকা ৭০ পয়সা থেকে কমিয়ে ১০৮ টাকা ০২ পয়সা করা হয়েছে।

এ ছাড়া সাড়ে ৫ কেজি থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি পর্যন্ত সব সিলিন্ডারের দামই কমানো হয়েছে।

নির্ধারিত মূল্য বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মনিটরিং করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিইআরসির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল।

সংবাদ সম্মেলনে সচিব আবু সায়িদ, সদস্য মকবুল-ই ইলাহি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বি এন-০৬