ইউরোপ-আমেরিকার অবস্থাই এখন করুণ : প্রধানমন্ত্রী

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুলাই ২৩, ২০২২
০৩:৪৭ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ২৩, ২০২২
০৩:৪৭ অপরাহ্ন



ইউরোপ-আমেরিকার অবস্থাই এখন করুণ : প্রধানমন্ত্রী

সামনে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সেগুলো আমাদের মোকাবেলা কেরতে হবে। বিশ্বব্যাপী যেখানে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ তারপর স্যাংশন, করোনাভাইরাস সবমিলে সেখান থেকেও অবশ্যই উত্তরণ আমাদের ঘটবে। কারণ আমাদের প্রশাসনে যারা আছেন, তারা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন, তারাই এটি সফলভাবে করতে পারবেন।

আজ শনিবার (২৩ জুলাই) রাজধানী ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলা, যুদ্ধের সঙ্গে সঙ্গে আবার আমেরিকা রাশিয়ার ওপর দিল স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা)। ডলারে টাকা আদান-প্রদান, সুইফট বন্ধ করে দেওয়া। শুধু আমাদের মতো দেশ না আজকে উন্নত দেশগুলো সবাই এখন ভুক্তভোগী। এই একটা সিদ্ধান্তের কারণে আমাদের সার, খাদ্য, জ্বালানি তেল কেনা সব ক্ষেত্র বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

তিনি বলেন, শুধু আমরা না, পুরো বিশ্বই একটা দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে পড়ে গেছে। এটা হলো বাস্তবতা। আমি মনে করি, কেউ যদি মনে করেন স্যাংশন দিলেই একটা দেশকে শিক্ষা দেওয়া গেল, সেটা দিতে যেয়ে সবাই কিন্তু সেই শিক্ষা ভোগ করছে। সেই শিক্ষায় সবাই এখন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমাদের দেশে যেমন মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, উন্নত দেশগুলোতে অনেক অনেক বেশি মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে। জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের কথা শুধু আমরাই নই, উন্নত দেশগুলোও সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছে যে, বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে হবে। সেটা আপনি ইংল্যান্ড বলেন বা আমেরিকা বলেন বা ইউরোপের কথা বলেন, আমি উন্নত দেশগুলোর কথাই বলব। তাদের অবস্থাই এখন করুণ। সেখানে আমাদের অবস্থা এখন কোথায়?

তিনি কর্মকর্তাদের প্রশংসা করে বলেন, আপনারা আপনাদের অবস্থা থেকে কাজ করছেন বলেই তো আমরা অনেক দেশের তুলনায় ভালো আছি। তবুও ভবিষ্যত চিন্তা করে আমাদের সাশ্রয়ী হতে হবে। আমাদের মিতব্যয়ী হতে হবে। অহেতুক যেন অপচয় না হয় সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।

‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস’ উপলক্ষে এবারই প্রথমবারের মতো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে দেওয়া হলো ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’। এত দিন এ পদকের নাম ছিল শুধু জনপ্রশাসন পদক। এ বছর বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক পেয়েছে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ২৭ জন কর্মকর্তা, তিনটি মন্ত্রণালয় এবং একটি ইউনিট।

আরএম-০৪

সূত্র - কালের কণ্ঠ