মালয়েশিয়ায় পাঠাতে পর্যাপ্ত কর্মী পাচ্ছি না

সিলেট মিরর ডেস্ক


আগস্ট ০৫, ২০২২
০২:৪৯ পূর্বাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ০৫, ২০২২
০২:৪৯ পূর্বাহ্ন



মালয়েশিয়ায় পাঠাতে পর্যাপ্ত কর্মী পাচ্ছি না
-প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ। -ফাইল ছবি

প্রস্তুতি থাকলেও মালয়েশিয়ায় পাঠানোর জন্য পর্যাপ্ত কর্মী পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ। তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়া প্রস্তুত, আমরাও প্রস্তুত। কিন্তু সে দেশে পাঠানোর মতো পর্যাপ্ত কর্মী পাচ্ছি না। আমরা ১৩টি এজেন্টের মাধ্যমে এরই মধ্যে ২ হাজার ২০০ জনকে অনুমতি দিয়েছি। কিন্তু আমরা আরও বেশি বেশি করে কর্মী মালয়েশিয়ায় পাঠাতে চাই।’

বৃহস্পতিবার প্রবাসী কল্যাণ ভবনের বিজয় ৭১ মিলনায়তনে প্রবাসী কর্মীদের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পর্যাপ্ত কর্মী না পাওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যারা লোক পাঠায় এটা তাদের জিজ্ঞেস করুন। তবে আমরাও এ বিষয়ে জানাতে চাইব, কেন তারা পর্যাপ্ত কর্মী প্রস্তুত করতে পারছেন না। আমরা খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেব। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার আমাদের তরফ থেকে পুরোপুরি খোলা। তারপরও সে দেশে পাঠানোর কর্মী সংকট দেখা যাচ্ছে। মানুষ যাচ্ছে না, কারণ অন্য তরফ থেকে জিনিসটা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে না। এখানে কোনো সমস্যা থাকলে আমরা দেখব, যেন মানুষ মালয়েশিয়ায় যেতে আগ্রহী হয়। মালয়েশিয়া সরকারের কিন্তু বিভিন্ন খাতে শ্রমিক দরকার।’

অনেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েও বেকার বসে আছেন, চাকরি নেই অথচ তারাই যদি নার্সিংয়ে ঢুকত তবে চাকরির অভাব হতো না বলে মনে করেন মন্ত্রী ইমরান আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ভোকেশনাল পাস করে স্ক্রু ড্রাইভার কিভাবে চালাতে হয় এটা শিখলেও কিন্তু চাকরির অভাব নেই। আজ জাপানে ছেলেমেয়েরা বয়স্কদের সেবক হিসেবে চাকরি করছে। তাদের বেতনও কিন্তু দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। অথচ আমরা এভাবে চিন্তা করি না। আমরা আগে চাকরিটা পেয়ে যেতে চাই। সৌদি আরবে কাজের বিরাট সুযোগ আছে। দেশে লাখ লাখ মাদ্রাসা আছে, কিন্তু আরবি ভাষা শেখানো হয় না। কেউ আরবি ভাষা শেখায় না। অথচ সবাইকে কোরআন শরিফের হাফেজ বানিয়ে দেয়। এটা কিন্তু সৌদিতে চলে না। মাদ্রাসাগুলোর দায়িত্ব আরবি ভাষা শেখানো, কিন্তু এটা হয় না। মাদ্রাসাছাত্ররা আরবি জানলে চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরে আসতো না। সৌদিতে যিনি ৮০০-৯০০ রিয়াল বেতন পান, আরবি জানা থাকলে তার বেতন হতো ১২০০-১৪০০ রিয়াল। এখানে ভাষাগত কমিউনিকেশনের একটা বিরাট গ্যাপ আছে।’


এএফ/০১