নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ০৬, ২০২২
০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ০৬, ২০২২
০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন
পেট্রোল না পেয়ে নগরের সোবহানীঘাট এলাকায় ক্রেতাদের সড়ক অবরোধ। ছবি- সিলেট মিরর
সব ধরণের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করেছে সরকার। রাতেই কার্যকর হচ্ছে এমন খবরে সিলেট জুড়ে তোলপাড় হয়েছে। পূর্বের দামে তেল কিনতে পেট্রোল পাম্পগুলোতে ভিড় জমান ক্রেতারা। এতে গাড়ি আর মোটরসাইকেলের জটলা বেঁধে যায় পাম্পগুলোতে। এদিকে দাম বাড়ার সুযোগ কাজে লাগাতে শুক্রবার রাত ১০টার পর তেল বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয় বেশিরভাগ পাম্পে। এতে করে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা সিলেটের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ, হর্ণ বাজিয়ে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ করেন।
শুক্রবার রাত ১০ রাত থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে রাত ১২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত সিলেট নগরের পাঠানটুলা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে রাখেন ক্ষুব্ধ মোটরসাইকেল চালকরা। পরে পুলিশ এসে অবরোধ তুলে দেয়। নগরের চৌকিদেখি এলাকার উত্তরা পেট্রোল পাম্পে রাত সোয়া ১২টার দিকে গিয়ে দেখা গেছে তেল না পেয়ে পাম্পের সামনে অর্ধ শতাধিক মোটরসাইকেল চালক অবস্থান নিয়ে এক সঙ্গে হর্ণ বাজিয়ে প্রতিবাদ করছেন। নগরের পশ্চিম আম্বরখানায় তেল বিক্রি বন্ধ করে পাম্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চলে গেলে সেখানে জড়ো হওয়া গাড়ি ও মোটরসাইকেল আরোহীরা ক্ষোভ জানাচ্ছেন।
রাত ১১টার দিকে দক্ষিণ সুরমায় সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের কদমতলি এলাকার এম এস মো. সোলেমান বক্স সিএনজি ফিলিং স্টেশনে (সাবেক নাইম সিএনজি পাম্প) এ চিত্র দেখা গেছে। এছাড়াও নগরীর শাহজালাল উপশহর এলাকার বেঙ্গল গ্যাসোলিনও (এমএ হক পাম্পে) ছিল একই অবস্থা। তেলের দাম বাড়িয়ে বিক্রির পায়তারায় ক্ষুব্ধ হয়ে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক এবং সোবহানীঘাট-উপশহর সড়ক অবরোধ করেন গ্রাহকরা। এ সময় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় গ্রাহকদের। এসব গ্রাহকের মধ্যে মোটরসাইকেল চালকের সংখ্যাই বেশি।
রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কোনো পাম্পই জ্বালানি বিক্রি করছে না এবং এসব জায়গায় সড়ক অবরোধ অব্যাহত ছিলো ও ক্ষুব্ধ গ্রাহকদের বিক্ষোভ চলছিলো। এতে রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে এবং লোকজন চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। তবে এসব স্থানে পুলিশ কোনো কার্যকর ভূমিকা পালন করছে না বলে ভুক্তভোগিদের অভিযোগ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেট মহানগরীর প্রায় প্রত্যেকটি পাম্পেই দাম বাড়ার খবর পেয়েই জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে।
নগরের দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুলস্থ মেসার্স দিবারাত্রি ফিলিং স্টেশনে মোটরসাইকেল নিয়ে পেট্রোল ক্রয় করতে আসা সিলাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য নোমানুল ইসলাম সাজু বলেন, বাড়িতে ছিলাম। গাড়িতে তেল কম। তাই তেল নিতে এসেছি। পাম্পে এসে দেখি পা ফেলার জায়গা নাই। মূলত দাম বৃদ্ধির কারণে মানুষের এমন অবস্থা।
দিবারাত্রি ফিলিং স্টেশনের ক্যাশ ম্যানেজার বলেন, আমরা প্রত্যেক ক্রেতাকে ২০০ টাকার উপর তেল দিচ্ছি না৷ এতো লোক কখনও আমাদের পাম্পে পেট্রোল নিতে আসেন নি। মানুষের উপস্থিত বেশি থাকায় আমরা কিছুটা বিপাকে আছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক রাত বারোটায় নতুন দামে তেল বিক্রি করবো। বারোটার আগেই আমরা পুরোনো দামে তেল বিক্রি করে যাবো।
এএফ/০১