চা-শ্রমিকদের তিন দিন অপেক্ষার কথা বললেন পরিবেশমন্ত্রী

সিলেট মিরর ডেস্ক


আগস্ট ২৪, ২০২২
০৯:৪৯ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ২৪, ২০২২
০৯:৪৯ অপরাহ্ন



চা-শ্রমিকদের তিন দিন অপেক্ষার কথা বললেন পরিবেশমন্ত্রী

দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে আন্দোলনরত চা-শ্রমিকদের সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এমপি। তিনি চা-শ্রমিকদের আরও তিন দিন অপেক্ষা করার জন্য অনুরোধ করেছেন।

বুধবার বেলা ১২টার দিকে চলমান আন্দোলনের ১৬তম দিন মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার বড়লেখা-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন চা-শ্রমিকেরা। মুক্তিযোদ্ধা এম এ মুমিত আসুক চত্বর এলাকায় তারা মহাসড়কে অবস্থান নেন।

এ সময় জুড়ী উপজেলায় এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশমন্ত্রী। চা-শ্রমিকদের অবরোধের খবর পেয়ে মন্ত্রী অনুষ্ঠান থেকে দ্রুত বের হয়ে আন্দোলনস্থলে যান। সেখানে গিয়ে তিনি উপস্থিত চা-শ্রমিকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। এরপর মন্ত্রীর আশ্বাস পেয়ে চা-শ্রমিকেরা সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘মজুরির দাবিতে আপনার দীর্ঘদিন যাবৎ কষ্ট করছেন। এ বিষয়ে আপনারা বলেছেন, মজুরির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখে কথা শুনতে চান। আসার সময় গাড়িতে বসে আমি প্রধানমন্ত্রীর সচিবের সঙ্গে কথা বলে আপনাদের সামনে এসেছি। আশা করছি দুই-তিনদিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী আপনাদের জন্য কিছু করবেন। একটা সমাধান হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ভালোবাসেন। তাকে শতভাগ ভোট দেন। আমাকেও শতভাগ ভোট দেন। এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ। অনুরোধ করছি আপনারা তিনটা দিন অপেক্ষা করেন। আর আপনারা রোদের মধ্যে কষ্ট করবেন না। তিন দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী আপনাদের একটা সমাধান করে দেবেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা কড়া রোদের মাঝে রাস্তায় যে কষ্ট করছেন তার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা জানি আপনারা জীবনভর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালোবেসেছেন। নিজের বাবার মতো ভালোবাসেন। বঙ্গবন্ধু কন্যাকেও আপনারা ভালোবাসেন। শতভাগ ভোট দিয়ে তাকে নির্বাচিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘আপনাদের প্রধানমন্ত্রী আপনাদের প্রতি অত্যন্ত সদয় আছেন। আপনারা হতাশ হবেন না। তিনি আপনাদের বিরুদ্ধে কিছু করবেন না। আপনাদের পক্ষেই কথা বলবেন।’

পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনাদের ছেলে-মেয়ে শিক্ষিত হয়ে দেশ পরিচালনায় যেন সম্পৃক্ত হতে পারে, সে জন্য প্রধানমন্ত্রী তাদের সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। ফলে আপনাদের ছেলে-মেয়ে চিকিৎসক, অধ্যাপক, পুলিশসহ সরকারি উচ্চ পদে চাকরি করছে। আজকে আপনার ছেলে চা-শ্রমিক নয়, তারা দেশ চালাচ্ছে। এর জন্য আমরাও গর্ব করি।’ তিনি বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যেভাবে ঘর দেওয়া হয়েছে; সেভাবে আপনাদেরও পর্যায়ক্রমে ঘর করে দেবে সরকার।’


এএফ/০৪