নবীগঞ্জে নিখোঁজের দুই দিন পর নদী থেকে লাশ উদ্ধার

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি


সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২
০৯:৪৩ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২
০৯:৪৩ অপরাহ্ন



নবীগঞ্জে নিখোঁজের দুই দিন পর নদী থেকে লাশ উদ্ধার

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জে নিখোঁজের দুই দিন পর বিবিয়ানা নদী থেকে লিটন মিয়া (৪৮) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

লিটন উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যসমত গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের পুত্র।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, লিটন মিয়া ইনাতগঞ্জ বাজারের একজন সবজি ব্যবসায়ী। তিনি গত বৃহস্পতিবার রাতে ব্যবসা বন্ধ করে  বাড়িতে আর ফিরেনি।তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। তাকে না পেয়ে তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনদের বাড়ি-ঘরে অনেক খোঁজাখঁজি করে কোথাও লিটনের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

আজ শনিবার সকাল ৭টার দিকে নবীগঞ্জ উপজেলার ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা গ্রামের ভিতর দিয়ে বিবিয়ানা  (মরা নদী) নদীতে স্থানীয় লোকজন ভাসমান অবস্থায় লিটন মিয়ার লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডালিম আহমেদ ও ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ কাওসার আহমেদসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করেন। এ সময় লিটনের স্বজনরা লাশ সনাক্ত করেন। পরে পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেন।

এ ব্যাপারে নিহত লিটনের ভাই সালেনুর মিয়া বলেন, আমার ভাই যে রাতে নিখোঁজ হয়েছিলেন। ওই রাতে স্থানীয় কসবা বাজার থেকে লোকজন রাত দুইটায় ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নোমান হোসেনকে ফোনে বলেছিল লিটন আটক আছেন, আপনি এসে নিয়ে যান। চেয়ারম্যান উত্তরে বলেন, ওকে মেরে ফেলো। আমরা যে দুইদিন ধরে খোঁজতেছি চেয়ারম্যান আমাদের সে খবর না বলে  গোপন রাখেন। বিষয়টি আমরা পরে জেনেছি। তিনি আরও বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।’

তিনি প্রশাসনের নিকট সঠিক তদন্ত করে তার ভাইয়ের হত্যাকান্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান নোমান হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘রাত ৩টার দিকে আমার কাছে ফোন আসে লিটন মদ পান করে মাতলামি করছে। এসব কথা শুনে আমি বলেছি। কোন রকম বিষয়টা শেষ করে দিয়ে দাও। কালকে সকালে আমি বিষয়টি দেখব। পরদিন শোনা যায় লিটন নিখোঁজ। এর পরদিন তার লাশ বিবিয়ানা নদীতে স্থানীয় লোকজন দেখতে পান। এমন খবরে এলাকার মানুষ, থানা পুলিশসহ আমিও সেখানে যাই। উপস্থিত লোকজন ও পুলিশের সামনে লিটনের ভাই গংরা আমাকে দেখা মাত্রই বেধরক মারপিট করে। এতেও আমি কোন প্রতিবাদ করি নাই। এরপরও তারা আমাকে নিয়ে নানান বাজে মন্তব্য করছে। পুলিশ তদন্ত করলেই আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। আমিও চাই অপরাধী যেই হোক না কেন তার বিচার হোক। 

এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডালিম আহমেদ জানান, ‘খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কোন মামলা হয়নি। মামলা হলে আমরা আবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় থমথমে উত্তেজনা বিরাজ করছে।


এএইএম-০১/এএফ-০৯