সিলেট মিরর ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২
০৮:৩০ অপরাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২
০৮:৩৩ অপরাহ্ন
'চোখ ওঠা' আমাদের পরিচিত অসুখ। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এ রোগের নাম 'কনজাংটিভাইটিস'। চোখ উঠলে চোখের সাদা অংশ লাল বা গোলাপি বর্ণ ধারণ করে বলে একে 'পিংক আই' বলেও অভিহিত করা হয়। শিশুদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা গেলেও বড়দেরও কনজাংটিভাইটিস হতে পারে।
কী এই কনজাংটিভাইটিস আমাদের চোখের পাতার নিচে ঝিল্লির মতো পাতলা পর্দা যা চোখের সাদা অংশকে ও চক্ষুপল্লবের ভেতরের ভাগকে ঢেকে রাখে যে পর্দা, তার নাম কনজাংটিভা। এই পর্দার প্রদাহ বা ব্যথা কে বলা হয় কনজাংটিভাইটিস, যা সহজ বাংলায় আমাদের কাছে চোখ ওঠা নামে পরিচিত।
গরমে আর বর্ষায় চোখ ওঠার প্রকোপ বাড়ে। একে বলা হয় কনজাংটিভাইটিস বা চোখের আবরণ কনজাংটিভার প্রদাহ। সমস্যাটি চোখ ওঠা নামেই পরিচিত। রোগটি ছোঁয়াচে। ফলে দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
কনজাংটিভাইটিসের লক্ষণ হলো চোখের নিচের অংশ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে ব্যথা, খচখচ করা বা অস্বস্তি। প্রথমে এক চোখ আক্রান্ত হয়, তারপর অন্য চোখে ছড়িয়ে পড়ে। এ রোগে চোখ থেকে পানি পড়তে থাকে। চোখের নিচের অংশ ফুলে ও লাল হয়ে যায়। চোখ জ্বলে ও চুলকাতে থাকে। আলোয় চোখে আরও অস্বস্তি হয়।
- সাবানপানি দিয়ে কিছুক্ষণ পরপরই হাত পরিষ্কার করতে হবে।
- কোনো কারণে চোখ ভেজা থাকলে চোখ টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে নিতে হবে। ব্যবহারের পর টিস্যু পেপারটি অবশ্যই ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দিতে হবে। নইলে ব্যবহার করা টিস্যু পেপার থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
- চোখ উঠলে চশমার ব্যবহার করুন। এতে চোখে স্পর্শ করা কমবে এবং ধুলাবালু, ধোঁয়া থেকে চোখ রক্ষা পাবে। আলোয় অস্বস্তিও কমবে।
- চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।
- নিজের ব্যবহার করা প্রসাধনসামগ্রী ও ব্যক্তিগত কাপড়চোপড় অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না। একইভাবে অন্যের ব্যবহৃত প্রসাধনসামগ্রী ও ব্যক্তিগত জিনিসপত্র রোগীর ব্যবহার করা চলবে না।
- চোখ ঘষে চুলকানো যাবে না। অন্য কারও আই ড্রপ ব্যবহার করা উচিত হবে না। এতে আবার কনজাংটিভাইটিস হতে পারে।
- প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
আরএম-০৯