সিলেট মিরর ডেস্ক
নভেম্বর ২৪, ২০২২
০৬:৫১ অপরাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ২৪, ২০২২
০৬:৫১ অপরাহ্ন
ব্রিটিশ রাজপরিবারের জৌলুশপূর্ণ জীবনযাপনের আড়ালে নারীদের অবর্ণনীয় কষ্ট ও বর্ণবাদের তথ্য প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের সম্মানজনক রবার্ট এফ কেনেডি মানবাধিকার পুরস্কার পেয়েছেন ব্রিটিশ যুবরাজ হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান মার্কেল। আগামী ৬ ডিসেম্বর নিউইয়র্কে এ দম্পতি পুরস্কার গ্রহণ করবেন।
চলতি বছরের শুরুতে মার্কিন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব অপরাহ্ উইনফ্রেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল রাজপরিবারের মধ্যে বিভিন্ন বর্ণবাদের কথা তুলে ধরেন। সাক্ষাৎকারে তারা রাজকীয় দায়িত্ব থেকে সরে আসার সিদ্ধান্তের পেছনের কারণগুলো নিয়েও আলোচনা করেন। ২০২১ সালের প্রথম দিক থেকে তারা স্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস শুরু করেন।
হ্যারি ও মেগানের প্রথম সন্তান আর্চির জন্মের আগেই তার সম্ভাব্য গায়ের রং নিয়ে রাজপরিবারে আলোচনা চলছিল, যা নিয়ে এ দম্পতি খুবই বিরক্ত ছিলেন। মেগান আফ্রিকান-আমেরিকান নাগরিক। তার মা কৃষ্ণাঙ্গ আর বাবা শ্বেতাঙ্গ। কৃষ্ণাঙ্গ রক্ত থাকা কারো ব্রিটিশ রাজপরিবারে বিয়ে হওয়া এটিই ছিল প্রথম।
স্প্যানিশ গণমাধ্যম এল কনফিডেনশিয়ালকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মানবাধিকারকর্মী ক্যানি কেনেডি তুলে ধরেছেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল দম্পতিকে এই সম্মাননা দেয়ার কারণ।
তিনি বলেন, ‘তারা যুক্তরাজ্যের ইতিহাসের প্রাচীন একটি প্রতিষ্ঠান ছেড়ে এসেছিলেন। তারা দেখিয়ে দিয়েছেন, রাজপরিবার যুগের পর যুগ ভুল করে আসছে। তারা কাঠামোগত বর্ণবাদে থাকতে পারেন না। এমনকি তারা মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে একটি ভুল বোঝাবুঝির মধ্যে থাকতে পারেন না।’
বিশ্বজুড়ে সমতা প্রতিষ্ঠা, ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করা ব্যক্তিদের সম্মানজনক এ পুরস্কার দেয়া হয়। এ বছর প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল ছাড়াও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং মার্কিন বাস্কেবল খেলোয়াড় বিল রাসেল এ পুরস্কার পেয়েছেন।
এসই/০৩