ফ্রান্স ম্যাচের আগে ইংলিশদের যে দুর্ভাবনা

খেলা ডেস্ক


ডিসেম্বর ০৬, ২০২২
১০:০৯ অপরাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ০৬, ২০২২
১০:০৯ অপরাহ্ন



ফ্রান্স ম্যাচের আগে ইংলিশদের যে দুর্ভাবনা

গ্যারেথ সাউথগেটের হাত ধরে দুটি বড় টুর্নামেন্টে সেমি-ফাইনাল ও ফাইনাল খেললেও একটি জায়গায় বড় ঘাটতি রয়ে গেছে ইংল্যান্ডের। তা হলো, দেশের বাইরে এখনও তেমন শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে হারাতে পারেনি সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ফ্রান্সের বিপক্ষে কোয়ার্টার-ফাইনালে এই মলিনতা ঝেড়ে ফেলতে চান ইংলিশ কোচ। 

২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে দেখা গেছে ‘বড় ও শক্তিশালী’ দলের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ভোগান্তি। সেই সময় র‌্যাঙ্কিংয়ের পাঁচে থাকা বেলজিয়ামের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে ১-০ গোলে হেরেছিল সাউথগেটের দল। 

পরে শেষ ষোলোয় কলম্বিয়াকে টাইব্রেকার এবং কোয়ার্টার-ফাইনালে সুইডেনকে ২-০ গোলে হারায় তারা। ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে হেরে যায় ২-১ গোলে। 

তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে আবার বেলজিয়ামের বিপক্ষে হারে ২-০ গোলে। 

গত বছর হওয়া ইউরপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের সবগুলো ম্যাচ দেশের মাটিতেই খেলে ইংল্যান্ড। গ্রুপে ক্রোয়াটদের হারানোর পর শেষ ষোলো থেকে দলটি জার্মানিকে বিদায় করে দেয়। ধাপে ধাপে চলে যায় ফাইনালে। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামের ১৯৬৬ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হৃদয় ভেঙে টাইব্রেকারে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় ইতালি। 

এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত দারুণ খেলছে ইংল্যান্ড। গ্রুপ পর্বে ৯ গোল করা দলটি অপরাজিত থেকে শেষ ষোলোয় জায়গা করে নেয়৷ সেখানে অবশ্য তেমন কোনো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে লড়তে হয়নি তাদের। 

এরপর কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে সেনেগালকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছেন কেইন-গ্রিলিসরা। 

শেষ আটে অবশ্য কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে ইংল্যান্ডকে। সামনে যে শিরোপাধারী ফ্রান্স। ‘হাই ভোল্টেজ’ ম্যাচটি হবে আগামী শনিবার, বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়। 

এই ম্যাচের আগে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে মেজর টুর্নামেন্টে নিজেদের মলিন রেকর্ড ভাবাচ্ছে সাউথগেটকে। তবে ৪৯ বছর বয়সী এই কোচ আশাবাদী, এবার ফরাসি বাধা টপকাতে সক্ষম হবেন তারা। 

“আমরা গত চার বা পাঁচ বছরে বেশ কিছু ইতিহাস তৈরি করেছি, এর সবগুলো যদিও খুব আহামরি কিছু নয়। এবার এটিই বড় চ্যালেঞ্জ।” 

“পেছনের টুর্নামেন্টগুলোয় (২০১৮ বিশ্বকাপ ও ইউরো ২০২০) ফিরে তাকালে দেখা যায়, যে (বড়) দলগুলো ইংল্যান্ডকে ছিটকে দিয়েছে। আমরা তেমন কিছু করতে পারিনি (বড় দলের বিপক্ষে নকআউট পর্বে জেতা)। তাই এই দলের জন্য এটিই পরবর্তী পরীক্ষা।” 

সেনেগালের বিপক্ষে প্রথম ৩০ মিনিটে ছন্দ খুঁজে ফেরা ইংল্যান্ড বিরতির আগেই অবশ্য দুই গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর আর প্রতিপক্ষকে ম্যাচে ফেরার কোনো সুযোগই দেয়নি দলটি। ফ্রান্সের বিপক্ষে শুরু থেকে শিষ্যদের কাছে একই লড়াকু মানসিকতা দেখতে চান সাউথগেট। 

“আমাদের এমন সব মুহূর্তের অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং খেলোয়াড়রা জানে যে পূর্বে তাদের ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে ম্যাচ জিততে হয়েছে; অনেক বড় ম্যাচে তাদের পিছিয়ে থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হয়েছে।”


এএফ/০৭