সিলেট মিরর ডেস্ক
জানুয়ারি ০৮, ২০২৪
১২:২২ অপরাহ্ন
আপডেট : জানুয়ারি ০৮, ২০২৪
১২:২২ অপরাহ্ন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বিজয়ী হয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সর্বশেষ ঘোষিত ফলাফলে আওয়ামী লীগ ২৯৯ আসনের মধ্যে ২২৫টিকে জয়ী হয়েছে। সংসদের বর্তমান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা) পেয়েছে ১১টি আসন। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ৬১ আসনে। ৩০০ আসনের সংসদে ১৫১ আসন পেলেই সরকার গঠন করা যায়। এ নিয়ে টানা চতুর্থবার সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।
২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ দুই-তৃতীয়াংশের অধিক আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। ২৩০ আসন পেয়ে মহাজোট সঙ্গীদের নিয়ে সরকার গঠন করে। পরেরবার ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদে ২৩২ আসন পেয়ে সরকার গঠন করে দলটি। তৃতীয়বার ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৫৯ আসনে জয়ী হয়ে সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় আওয়ামী লীগ।
কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা দেয়। তফসিল অনুযায়ী, রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ২৯৯ আসনে ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ চলে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনে পরে ভোটগ্রহণ হবে।
এবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছে ২৮টি দল। দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪, স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হলেও দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। কিছু জায়গায় গোলাগুলিও ঘটেছে। অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ায় ভোট বাতিল করা হয়েছে কয়েকটি কেন্দ্রে। জালভোট দেওয়ার চেষ্টা করায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার, জরিমানা ও কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হিসাবে সারা দিনে ভোট পড়েছে ৪০ শতাংশের মতো। বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রে যেতে ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সারা দেশে প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। নির্বাচনে কোনো ধরনের সহিংসতা বা গুরুতর ঘটনা ঘটেনি। যখনই আমরা কোনো তথ্য পেয়েছি তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শেষ মুহূর্তে একজন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। জালভোটসহ নানা অনিয়মের কারণে কয়েকটি কেন্দ্রে ভোট বাতিল করা হয়েছে। কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, একাধিকবার আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের কারণে নির্বাচন কমিশন সর্বসম্মতিক্রমে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রার্থিতা বাতিল করে। ৯১ ই (২) ধারার বিধান অনুসারে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। এর আগে কোনো নির্বাচনে ভোট চলাকালে কারও প্রার্থিতা বাতিলের ঘটনা ঘটেনি।
এএফ/০২