এক লাখ টাকা ভুলে চলে আসে রাজনগরের মাসুমের নাম্বারে

রাজনগর প্রতিনিধি


ডিসেম্বর ১৫, ২০২২
১০:৪৭ অপরাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ১৫, ২০২২
১০:৪৮ অপরাহ্ন



এক লাখ টাকা ভুলে চলে আসে রাজনগরের মাসুমের নাম্বারে
ফেরত পেয়ে খুশি মিলাদ


সৌদি আরব প্রবাসী বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামের আব্দুল জলিল কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বাসিন্দা সহকর্মী আমজাদ হোসেনের কাছে এক লাখ টাকা পাওনা ছিলেন। গত ১৩ ডিসেম্বর আমজাদ হোসেন তার ভাই দেলোয়ার হোসেনকে টাকা পাঠাতে বললে তিনি বিকাশে একটি নাম্বারে টাকা পাঠান। কিন্তু সেই টাকা ভুলে চলে যায় রাজনগর সদর ইউনিয়নের মহাসহস্র গ্রামের মৃত হাফিজ ফজলুর রহমানের ছেলে মো. মুহিবুর রহমান মাসুমের বিকাশ নাম্বারে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে এই টাকা আব্দুল জলিলের ছেলে মিলাদ হোসেনের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

মো. মুহিবুর রহমান মাসুম ও মিলাদ হোসেন জানান, টাকা পাঠানোর পর আমজাদ হোসেন মুঠোফোনে মিলাদকে বিষয়টি জানালে তিনি তার বিকাশ নাম্বারে টাকা আসেনি দেখতে পান। পরে খোঁজ নিয়ে দেখেন রাজনগর উপজেলার মহাসহস্র গ্রামের মো. মুহিবুর রহমান মাসুমের নাম্বারে ভুলে টাকা চলে গেছে। মাসুম টাকা প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করে টাকা ফেরত দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।  পরে আজ সকালে রাজনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুবায়ের আহমদ চৌধুরী, ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. এনামুল হক চৌধুরী, লামাকাজী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য প্রতাপ পাল,  আব্দুল লতিফ, রাজনগর বাজার কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম বাবর, টুটন আহমদ, মোতাহার হোসেন, প্রবাসী সাব্বির খানের উপস্থিতিতে আব্দুল জলিলের ছেলে মিলাদ হোসেনের হাতে এক লাখ টাকা হস্তান্তর করা হয়।

টাকা ফিরে পেয়ে মিলাদ হোসেন বলেন, টাকা ভুল নাম্বারে যাওয়ার পর যোগাযোগ করলে আন্তরিকতা দেখিয়ে টাকা ফেরত নিতে বার বার মুহিবুর রহমান মাসুম আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন। তার সততা দেখে আমরা মুগ্ধ। মো. মুহিবুর রহমান মাসুম বলেন, এক লক্ষ টাকা আমার বিকাশে এসেছিল। অন্যের টাকার উপর আমার কখনো লোভ ছিল না। তাই টাকা ফিরিয়ে দিয়েছি।

এব্যপারে রাজনগর ইউপি চেয়ারম্যান জুবায়ের আহমদ চৌধুরী বলেন, অনেক সময় ভুল নাম্বারে টাকা চলে গেলে কেউ কেউ ফিরত দিতে চায় না। কিন্তু মাসুম টাকা পেয়েও ফিরত দিয়েছে। সে নিঃসন্দেহে সততা দেখিয়েছে। তাকে দেখে অনেকে ভালো কিছু শিখবে।


এসএফএইচ-০১/এএফ-০৬