সিলেট মিরর ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩
০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩
০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলা চালানোর ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তহবিল না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন মামলা পরিচালনাকারী দেশ গাম্বিয়া। এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মামাদো তানগারা।
রবিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশ ও গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের আগে একটি যৌথ ঘোষণা সই করেন বাংলাদেশ ও গাম্বিয়ার দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। যার মাধ্যমে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনগুলোতে দু'দেশের শান্তিরক্ষীদের একযোগে মোতায়েনের পথ তৈরি হয়। এরপর যৌথ ব্রিফিং করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মামাদো তানগারা।
মামলা চালাতে গিয়ে অর্থ সংকট হচ্ছে কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে মামাদো তানগারা বলেন, নিশ্চয়ই। মানুষ ও দেশগুলো সেভাবে অর্থ সাহায্য করছে না। তারা বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে কিন্তু অনুদান সেভাবে আসছে না। তবে আমরা আশা করি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা সাহায্যের হাত বাড়াবে। কারণ সবাই জানে এটা মহৎ কাজ। এই সমস্যা থেকে কেউই নিজেদের পৃথক করতে চায়নি বা করেনি, এটা ঠিক। তবে আমরা সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ চাই।
রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে ২০১৯ সালের নভেম্বরে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আইসিজেতে মামলা করে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানে যে বর্বরতা চালানো হয়েছে, তার মধ্য দিয়ে ১৯৮৪ সালের আন্তর্জাতিক গণহত্যা কনভেনশন ভঙ্গ করার অভিযোগ আনা হয়েছে ওই মামলায়। মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ওআইসির পক্ষ থেকে করা ওই মামলায় গাম্বিয়াকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে আসছে বাংলাদেশও।
রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে গিয়ে পরিস্থিতি সরেজমিন প্রত্যক্ষ করার কথা তুলে ধরে গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি নিয়ে ফিরে যাচ্ছি এবং রোহিঙ্গাদের বিচার এজেন্ডা এগিয়ে নিতে কাজ অব্যাহত রাখব।
রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারে অগ্রণী ভূমিকা নেওয়ায় গাম্বিয়াকে সাধুবাদ জানিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গাম্বিয়া আমাদের ভালো বন্ধু। রোহিঙ্গা ইস্যুতে ওআইসির পক্ষ থেকে মামলাটি তারা খুব সুন্দরভাবে লড়াই করছেন। আমরা আশাবাদী এটার প্রেক্ষিতে পৃথিবীতে আর কোনো গণহত্যা হবে না।
এএফ/০১