সিলেট মিরর ডেস্ক
মার্চ ১৮, ২০২৩
০৫:৫৭ অপরাহ্ন
আপডেট : মার্চ ১৮, ২০২৩
০৫:৫৭ অপরাহ্ন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। শুক্রবার (১৭ মার্চ) তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আইসিসি। এ ঘটনার পর পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিকে মূল্যহীন বলছে রাশিয়া।
গ্রেফতারের বিষয়ে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাকারোভা বলেছেন, ‘রাশিয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কোনো সদস্য নয় এবং এর নির্দেশ মানার জন্য বাধ্য নয়। রাশিয়া এ আদালতকে কোনো সহযোগিতা করে না। আন্তর্জাতিক আদালত থেকে আসা গ্রেফতারি পরোয়ানা আইনগতভাবে আমাদের কাছে ভিত্তিহীন।’
আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খান এক বছর আগে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু করেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রুশ টেলিভিশনে প্রচারিত এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দেশটির শিশুবিষয়ক কমিশনার এলভোভা–বেলোভা ইউক্রেনীয় শিশুদের দেশান্তর করার পর রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে কীভাবে তাদের দত্তক নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে কিংবা আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে, তা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন। ওই টেলিভিশন সম্প্রচারের পরই সম্ভবত আইসিসির কৌঁসুলি তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রাম চ্যানেলে এক পোস্টে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ মিত্র পার্লামেন্টের স্পিকার ভ্যাচেস্লাভ ভোলোদিন বলেছেন, আইসিসির সিদ্ধান্ত পশ্চিমা ‘হিস্টিরিয়া’ এর প্রমাণ। রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টের ওপর যে কোনো আক্রমণকে আমাদের দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হিসেবে বিবেচনা করি।
রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেন কোনো দেশই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য নয়। তবে অতীতে এ আদালতের দেওয়া রায় মেনে নিয়েছিল ইউক্রেন।
এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কারও অনুপস্থিতিতে বিচার করে না। ফলে পুতিনকে যদি বিচারের মুখোমুখি করতে হয়— তাহলে তাকে রাশিয়াকেই আদালতে সোপর্দ করতে হবে অথবা অন্য কোনো দেশে পুতিনকে আটক করে আদালতের কাছে তুলে দিতে হবে।
এসই/০৪