উন্নয়ন দেখে বিএনপির হাঁসফাস শুরু হয়েছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুন ০৭, ২০২৩
১১:১৪ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ০৭, ২০২৩
১১:১৪ অপরাহ্ন



উন্নয়ন দেখে বিএনপির হাঁসফাস শুরু হয়েছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী


স্থলপথে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে সিলেটের বিয়ানীবাজারে ‘শেওলা স্থলবন্দর’ উদ্বোধন হয়েছে। 

আজ বুধবার (৭ জুন) শেওলা স্থল বন্দরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতায়ে এই স্থল বন্দরে অর্থায়ন করেছে  এম.পি বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার। 

শেওলা স্থলবন্দরটি নির্মাণে প্রথম পর্যায়ে ব্যয় হয়েছে ১৩৮ কোটি টাকা। ২২ একর জমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন, সীমানা প্রাচীর, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, ওপেন ইয়ার্ড, পার্কিং ইয়ার্ড,  ট্রান্সশিপমেন্ট শেড, দুটি ওয়্যারহাউজ, মাল্টি এজেন্সী সার্ভিস ভবন, ডরমিটরী ভবন, বন্দরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা, টয়টেল কমপ্লেক্স ও বিশ্রামাগার,  অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা, দুটি ডিজিটাল ওয়েব্রীজ স্কেল নির্মাণ করা হয়েছে।

‘শেওলা স্থলবন্দর’ এর বিপরীতে রয়েছে ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জের সুতারকান্দি এলাকা। এ বন্দর দিয়ে সকল ধরণের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা যায়। তবে বর্তমানে প্রধানত গবাদিপশু, মাছের পোনা, ফল, গাছ-গাছড়া, বীজ, গম, রাসায়নিক সার, চায়লা ক্লে, কাঠ টিম্বার, চুনাপাথর, কোয়ার্টজ, ফুল আমদানি হয়ে থাকে এবং রপ্তানিযোগ্য পণ্যের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার খাদ্যদ্রব্য, হস্তশিল্প তথা তাঁতপণ্য, বেতের তৈরি দ্রব্য, ফলমূল, শুঁটকি মাছ, সাতকড়াসহ অন্যান্য পণ্য।

এ স্থলবন্দরের মাধ্যমে ভারতের সেভেন সিস্টার রাজ্য আসাম রাজ্যের সাথে স্থলপথে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সম্প্রসারিত হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। অতিথিরা আশা প্রকাশ করে বলেন, সহজে, দ্রুত ও স্বল্প সময়ে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে পণ্য সরবরাহ কার্যক্রম সচল রাখার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি বৈদেশিক বাণিজ্যে বিপুল গতি সঞ্চার হবে। বন্দর কেন্দ্রিক শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে এবং এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ,  প্রকল্প পরিচালক সারোয়ার আলম ও সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান।

উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে । বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে অনেকের গাত্রদাহ হচ্ছে। বিএনপির হাঁসফাস শুরু হয়েছে । তারা একবার আমেরিকা যায়, আরেকবার বিভিন্ন দূতাবাসে যায়। বিভিন্ন দূতাবাস গিয়ে কোন লাভ হবে না। বিএনপি যতই হাঁসফাস করুক না কেন, কোন লাভ হবে না।’

বাংলাদেশের মানুষ নিশ্চিত করবে আগামী দিনে কে ক্ষমতায় যাবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামীলীগ দেশের মানুষের জন্য কাজ করছে। ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ হবে কিনা; ২০৩০ সালে উন্নয়নের ভিত্তির উপর দাঁড়াবে কিনা, আগামী প্রজন্মের মাঝে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার নেতৃত্ব তৈরি হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত আগামী নির্বাচনে হবে।’

সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলো বাংলাদেশের উন্নয়ন চায় না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা এ দেশকে আফগানিস্তান বানাতে চায়। বাংলার মানুষ এটি মানবে না।’ তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার নিরন্তন প্রচেষ্ঠা ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার । বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কারিগর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন সিদ্ধান্তে আওয়ামীলীগ সরকারের সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে ২০০১ সালের ১৪ই জুন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তাঁর সঠিক দিক নির্দেশনায় ২৪টি স্থলবন্দরের মধ্যে ১৪টি স্থলবন্দরের উন্নয়ন সম্পন্ন করে অপারেশনাল কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। অবশিষ্ট স্থলবন্দরের মধ্যে আমরা আজ যেখানে দাঁড়িয়ে আছি সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলায় ‘শেওলা স্থলবন্দর’ একটি।’



এএফ/১৩