‘আমি নির্বাচিত হলে চাঁদাবাজ ভূমিদস্যু থাকবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক


জুন ২০, ২০২৩
১২:৩৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুন ২০, ২০২৩
১২:৩৪ পূর্বাহ্ন



‘আমি নির্বাচিত হলে চাঁদাবাজ ভূমিদস্যু থাকবে না’


মেয়র হলে সিলেট নগরকে চাঁদাবাজী, ছিনতাই ও  ভূমি দখলদার থেকে মুক্ত করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘সিলেট হবে সুন্দর ও স্মার্ট নগর।’ তিনি নগরবাসীকে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আপনাদের খাদেম হিসাবে কাঙ্ক্ষি উন্নয়ন করার সুযোগ চাই।’

সোমবার (১৯ জুন) রাতে নগরের ঐতিহ্যবাহী রেজিস্ট্রারী মাঠে নিজের শেষ নির্বাচনী জনসভায় সিলেটবাসীর উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, কেন্দ্রীয় সদস্য আজিজুস সামাদ আজাদ ডন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, ‘আপনারা এই সন্তানের ওপর, ভাইয়ের ওপর ভরসা রাখতে পারেন। আপনারা আমার ওপর ভরসা রাখুন, কথা দিচ্ছি আমি আপনাদের ছোট করব না। আপনারা লজ্জিত হন, আপনাদের মুখ ছোট হয় এমন কোনো কাজ আমি করব না।

প্রধানমন্ত্রী তাঁকে পাঠিয়েছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের কাছে আমাকে পাঠিয়েছেন। বলেছেন, তুমি তোমার সিলেটবাসীর কাছে যাও। আলীম উলামাদের কাছে যাও। তোমার মুরব্বিয়ান, মা-বোনদের কাছে যাও।

তাদের কাছে গিয়ে তাদের মনের ভাষা বুঝার চেষ্টা করো। দেখ, এই সিলেটের মানুষ কি চায়। নগর পিতা হিসেবে নয় নগরবাসীর সেবক হিসেবে আগামীতে কাজ করার প্রস্তুতি নাও।’

তিনি বলেন, ‘আমি নেত্রীকে কথা দিয়ে এসেছি, নেত্রী আমার জন্য দোয়া করেন, আপনি যে আস্থা ও বিশ্বাস আমার প্রতি রেখেছেন আমি সিলেট যাচ্ছি তা যেন রাখতে পারি।’ সিলেট এসে সবার দ্বারে দ্বারে গিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বুঝার চেষ্টা করেছি এ নগরের মানুষ কি চায়।

আমি জেনেছি, তারা চান নগরে সন্ত্রাস থাকবে না, চাঁদাবাজি থাকবে না, ছিনতাইকারী, ভূমিদখল থাকবে না। এটাই নগরের মানুষের চাওয়া। প্রতিটি মানুষ চায় একটু বৃষ্টি হলে যেন এই সিলেট না ডুবে। তারা শহর রক্ষা বাঁধ চায়, সুরমা নদীর খনন দেখতে চায়। মা-বোনরা রাতে শহরে হাটতে চায়।’ 

তিনি নগরবাসীকে আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, ‘আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই আমি যদি নির্বাচিত হই এই শহরে কোনো চাঁদাবাজি, ছিনতাইকারী, ভূমিদখলকারী থাকবে না। এই নগর হবে সুন্দর, স্মার্ট নগর। এই নগরে বৃক্ষরোপণ হবে। এই নগরে ড্রেনেজ সমস্যা থাকবে না, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকবে। এই নগরে যাতে মা-বোনেরা রাতে হাটতে পারে সেই ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।’ পুরো নগরকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন। 

তিনি নগরবাসীর কাছে ভোট প্রার্থনা করে বলেন, ‘আপনারা যদি কষ্ট করে আপনাদের আমানত ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেন এই সিলেটের মানুষের প্রত্যেকটি দাবি নিয়ে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাব। গিয়ে বলব, নেত্রী আমি সিলেটের সর্বস্তরের মানুষের কাছে গিয়েছিলাম। তারা আমাকে সম্মানীত করেছেন। আপনি নৌকা দিয়ে পাঠিয়েছিলেন এই সিলেটের মানুষ আমাকে খালি হাতে দেননি। আমাকে জয়ী করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি সিলেটের মানুষের যে দাবি তা আমি শতভাগ না হলেও ৯০ শতাংশ বাস্তবায়ন করতে পারব। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে আপনারা যদি ভোট কেন্দ্রে যান তাহলে আমাদের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এড,মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন,যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজিদুর রহমান ফারুক,জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহ ফরিদ, আশফাক আহমদ, নিজাম উদ্দিন, মহানগর আওয়ামী লীগে  সহ-সভাপতি বিজিত চৌধুরী,ফয়জুল আনোযার আলাউর,অ্যাড. শাহ মোশাহিদ আলী।

এছাড়াও বক্তব্য দেন,তাতী লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি, খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ,ইঞ্জিয়ার শওকত আলী,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. খালেদ শওকত আলী, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি সুব্রত পুরকায়স্থ,বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএস জাকির,জেলা কৃষকলীগের সভিপতি অধ্যাপক সামসুল ইসলাম জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ শামীম রশিদ চৌধুরী,মহানগর শ্রমীক লীগের সভাপতি এস শাহরিয়ার কবির সেলিম, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুসফিক জায়গীরদার,জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ,মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইম আহমদসহ, জেলা মহানগর, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।


এএফ/০১