সিলেট মিরর ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩
০৩:০৩ পূর্বাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩
০৪:২১ অপরাহ্ন
নদী পথে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে এবং চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বড় তিন শুল্ক স্টেশন সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বড়ছড়া, চারাগাঁও ও বাগলিতে চুনাপাথর-কয়লা বিক্রি এবং পরিবহন বন্ধ রেখেছেন তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপ। পঞ্চম দিনের এই কর্মবিরতিতে কর্মহীন দিন কাটছে অন্তত ২০ হাজার শ্রমিকের।
নদীপথে চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন বন্ধ রাখা হবে বলে জানান তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারকরা।
আমদানি বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক। যার ফলে প্রতিদিন প্রায় ৮ কোটি টাকার পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকছে।
সমস্যা সমাধান করে দ্রুত কয়লা আমদানি চালু করার দাবি জানান শ্রমিকরা।
তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি আলকাছ উদ্দিন খন্দকার জানান, কয়লা চুনাপাথর পরিবহনের সময় পাটলাই নদীতে চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন নৌকা ও বাল্কহেড চালকরা। এতে নদীপথে পণ্য পরিবহনের ব্যয় বাড়ছে। বিআইডব্লিউটিএ ও উপজেলা প্রশাসনের খাস কালেকশনের নামে এই চাঁদা আদায় করা হয়।
যতদিন এই বেপরোয়া চাঁদা আদায় বন্ধ না হবে ততদিন কয়লা চুনাপাথর বিক্রি ও বহন বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।
সুনামগঞ্জ বিআইডব্লিউটিএ সহকারী বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা সুব্রত রায় জানান, নদীপথে বিআইডব্লিউটিএর ইজারাদার বেশি টোল আদায় করতে পারবে না। তাদেরকে বিষয়টি বলে দেওয়া হয়েছে। তবু যদি তারা অতিরিক্ত টোল আদায় করে, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।
উপজেলা প্রশাসনের খাস কালেকশনের নামে অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়টি তাদের আওতাভুক্ত নয় বলে জানান তিনি।
এএফ/০২