সিলেট মিরর ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩
০৩:০২ অপরাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩
০৩:২১ অপরাহ্ন
হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন আরিফ বাপ্পী’র আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। বইছে সমালোচনার ঝড়। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন আরিফ বাপ্পী’র তিন মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। মূহুর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার এবং ওয়াটসঅ্যাপে ভিডিওটি একে অপরের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওতে দেখা যায়, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন আরিফ বাপ্পী অজ্ঞাত এক নারীর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলছেন এবং তাকে উড়ন্ত কিস করছেন। পরে ওই নারীকে ভিডিওতে বিবস্ত্র অবস্থায় গোসল করতে দেখা গেছে। পরে বাপ্পী নিজেও নগ্নতায় জড়ান।
ভিডিওটি ভাইরাল হলে জেলা জুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। পাশাপাশি স্থানীয় ছাত্রলীগের ক্ষোভ দেখা গিয়েছে। যদিও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুর রহমান রবিনসহ কয়েকজন নেতা দাবি করেছেন, ‘ভিডিও এডিট করা ‘ রাজনীতির প্রতিহিংসায় তার সম্মানকে ক্ষুন্ন করছেন বলে তারা ফেসবুকে লিখেন।
এদিকে, মোশারফ হোসেন আরিফ বাপ্পী তার ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এটিকে ভিডিওটি এডিটিং বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন চক্রান্তকারীরা আমার উপর ঈর্ষান্বিত হয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে আমি পরিলক্ষিত করেছি যে, হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করতে এডিটিং এর মাধ্যমে ছবি ও ভিডিও দিয়ে আমার মানহানির চেষ্টা করতেছে। এই ব্যাপারে সকল ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। গুজবে কান দিবেন না। সাইবার ক্রাইম থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা বলেন, দায়িত্বশীল একজন ছাত্র নেতার এমন কর্মকাণ্ড কাম্য নয়। তার এমন কাণ্ডজ্ঞানহীনতায় জেলা ছাত্রলীগের মানহানী হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন আরিফ বাপ্পী বলেন, ‘সকলেই জানে আমি এমন ধরনের মানুষ না। আমার দ্বারা এমন অসামাজিক কার্যকলাপ কাম্য নয়। ভিডিওটি সুপার এডিট করা। আমার মানহানী ও সুসংগঠিত জেলা ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করতে একটি চক্র এডিটের মাধ্যমে ভিডিওটি তৈরী করে একে অপরের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে।’
এএফ/০৫
