শরীরে ধাক্কা লাগায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে উত্তেজনা, হলে ভাঙচুর

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি


সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩
০৮:০৩ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩
০৮:০৩ অপরাহ্ন



শরীরে ধাক্কা লাগায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে উত্তেজনা, হলে ভাঙচুর


হলের ক্যান্টিন থেকে বের হওয়ার সময় শরীরে ধাক্কা লাগায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এতে এক নেতার কক্ষ ভাংচুর করা হয়।

আজ সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরাণ হলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও কক্ষ ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরের দিকে ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হুদা শুভ শাহপরাণ হলের ক্যানটিন থেকে বের হচ্ছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমানের অনুসারী মো. শিপন হাসানের সঙ্গে নাজমুলের ধাক্কা লাগে। পরে এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। তখন জুনিয়র এমন আচরণের কারণ জানতে চাইলে নাজমুল হুদাকে দেখিয়ে নেওয়ার হুমকি দেয় শিপন।

পরে এ ঘটনার জেরে শিপন তার নেতা-কর্মীদের নিয়ে নাজমুল হুদার কক্ষে গিয়ে ভাঙচুর করে। এতে দুই পক্ষ সংঘর্ষের জন্য পাল্টাপাল্টি অবস্থান নেয় পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। হাতাহাতি ও কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনার পর মো. শিপন হাসান চিকিৎসা নিতে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানা যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয়টি গ্রুপের মধ্যে একটি গ্রুপের নেতৃত্ব রয়েছেন নাজমুল হুদা। তিনি অর্থনীতি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। মো. শিপন হাসান সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

ঘটনার বিষয়ে নাজমুল হুদা শুভ বলেন, আমি ক্যানটিন থেকে খাবার নিয়ে বের হওয়ার পথে শিপনের সাথে আমার ধাক্কা লাগে। পরে দেখে হাটতে পারো না বললে সে আমার সাথে বাকবিতন্ডায় জড়ায় এবং পরে আমাকে আবারো ধাক্কা দেয়, সে জুনিয়র হয়ে এমন আচরণ কেন করছে জানতে চাইলে সে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। পরে শিপন ও তাদের গ্রুপের কর্মীরা আমার কক্ষে গিয়ে ভাঙচুর চালায়।

ছাত্রলীগ কর্মী মো. শিপন হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি ক্যানটিনে যাচ্ছিলাম। তখন তিনি (নাজমুল) আমাকে ধাক্কা দেন। এরপর আমাকে চড় মারেন। ঘটনার পর কক্ষ ভাঙচুর কে করেছে তা জানি না। কারণ, আমি তখন চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে চলে আসি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি শোনার পর প্রভোস্ট ও প্রক্টরুয়াল বডির সদস্য উপস্থিত হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। পুরো ঘটনা জেনে পরবত ব্যবস্থা নেওয়া হব।


এএফ/১০