মার্কিন ভিসা নীতিতে কী আছে

সিলেট মিরর ডেস্ক


সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩
১০:৩২ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩
১০:৩২ অপরাহ্ন



মার্কিন ভিসা নীতিতে কী আছে


বাংলাদেশিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের নীতি কার্যকর শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের কয়েকটি ধারা অনুযায়ী- নতুন যে ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, সরকার সমর্থক এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।

এর আগে গত ২৩ মে বাংলাদেশে নির্বাচনে অনিয়ম করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে সিদ্বান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র। ওই দিন দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। তবে নতুন করে বাংলাদেশের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি দেশটি।

একই দিন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি জে ব্লিংকেন এক টুইটে বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা এগিয়ে নিতে আমি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করছি। এ নীতির আওতায় বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থাকে যারা অবমূল্যায়ন করবেন অথবা এর সঙ্গে যারা জড়িত থাকবেন বা যারা দায়ী হবেন, তাদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর আমরা ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারি।

গত মে মাসে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন উৎসাহিত করতে ভিসা নীতির ঘোষণা’ শিরোনামে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যকে সহায়তা করতে আমি ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের ধারা ২১২(এ)(৩)(সি)(৩সি)-এর অধীনে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। এই নীতির অধীনে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যে কোনো বাংলাদেশির জন্য ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপে সক্ষম হবে। এর মধ্যে বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা ও কর্মচারী, সরকারপন্থি ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র গত ৩ মে বাংলাদেশকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কাজের মধ্যে রয়েছে– ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংসতার মাধ্যমে জনগণকে সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দেওয়া এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখা।

ব্লিংকেন আরও বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যমসহ সবার। যারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চান, তাদের সবাইকে আমাদের সমর্থন দিতে আমি এই নীতি ঘোষণা করা হয়েছে।

এর আগে ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে র‍্যাব এবং এর সাবেক কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।


এএফ/১৫