উড়ে এসে জুড়ে বসা ডাচম্যান

খেলা ডেস্ক


অক্টোবর ২৩, ২০২৩
১১:১৯ পূর্বাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ২৩, ২০২৩
১১:১৯ পূর্বাহ্ন



উড়ে এসে জুড়ে বসা ডাচম্যান

বছর দুয়েক আগেও যদি কোনো আফ্রিকানকে জিজ্ঞেস করা হতো সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট কোন দেশের খেলোয়াড়? তিনি এককথায় বলতেন, দক্ষিণ আফ্রিকার। কিন্তু এখন আর সেটা বলবেন না ওই আফ্রিকান। কারণ, ২০১৬ সাল পর্যন্তও যে ক্রিকেটার প্রোটিয়া দলে ছিলেন, তাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন, সেই সিব্র্যান্ড এখন নেদারল্যান্ডস জাতীয় দলের একজন। শুধু নিছক একজন নন, তাদের আশা-ভরসার অন্যতম নামও তিনি। অনেকটা উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন ডাচদুর্গে। 

২০২৩ সালে নেদারল্যান্ডসের ঘরোয়া ক্রিকেটে নাম লেখান। এর পর তাদের ‘এ’ দলে পারফর্ম করেন। সেখান থেকে সোজা বিশ্বকাপে। আর বিশ্বমঞ্চেও চলছে তাঁর ঝলক। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লক্ষ্ণৌতে ডুবতে থাকা দলকে লড়াই করার মতো একটা পুঁজি এনে দিয়েছেন। খেলেছেন ৭০ রানের দারুণ এক ইনিংস। এর পর থেকেই আলোচনায় ৩৫ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার।

১৯৮৮ সালে জোহানেসবার্গে জন্ম সিব্র্যান্ডের। স্পিনের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও তাঁর পারফরম্যান্স মন্দ নয়। ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট দিয়ে পথচলা শুরু তাঁর। দেশটির নর্দান অঞ্চলের হয়ে প্রথম মাঠে নেমেছিলেন। যাত্রাতেই নিজের ঝলক দেখান চার উইকেটের পাশাপাশি ৪৫ রান করে। এর পর ঘরোয়াতে নিয়মিত পারফর্ম করে প্রোটিয়াদের বয়সভিত্তিক দলে নাম লেখান সিব্র্যান্ড। 

২০০৮ সালে মালয়েশিয়ায় হওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের দলেও জায়গা করে নেন তিনি। যে টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত এক ক্যাচ লুফে নতুন করে সবার নজরে এসেছিলেন। তাঁর ক্যাচটির সঙ্গে প্রোটিয়া কিংবদন্তি জন্টি রোডসের ফিল্ডিংয়ের মিল পায় ক্রিকেটবোদ্ধারা। কিছুদিন সেটি নিয়ে আলোচনাও চলে। এর পর ওই আসরের ফাইনালে উঠে দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও শিরোপা লড়াইয়ে ভারতের কাছে হারতে হয় তাদের। 

এরপর ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি২০তে ডুমিনি ইনজুরিতে পড়লে তাঁর বদলি হিসেবেও খেলেন এই সিব্র্যান্ড। পরে অবশ্য তাঁর দল কেপ কোবরার সঙ্গে চুক্তি বাতিল হয়। তাতে থেমে ছিল না তাঁর এগিয়ে যাওয়া। ২০১৫ সালে আফ্রিকার টি২০ কাপে আবার ডাক পান। যে টুর্নামেন্টে সাউথ ওয়েস্টার্ন ডিসট্রিকস ক্রিকেট টিমের হয়ে পারফর্ম করেন। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকটা এভাবে একের পর এক আফ্রিকান দলের হয়ে কাটানো সিব্র্যান্ড এখন নেদারল্যান্ডসের সেনানী। তাও আবার দ্বিপক্ষীয় কোনো ম্যাচ না খেলে সোজা বিশ্বকাপ দিয়ে ডাচ অধ্যায় খুলেছেন তিনি। যেটা তাঁর জন্য সত্যিই গর্বের। হয়তো জন্মভূমির হয়ে বিশ্বকাপ খেলতে পারলে আরও ভালো লাগত তাঁর। যাক, সেই স্বপ্নটা স্বপ্নই থেকে গেল।

আরসি-০৫