আয়ারল্যান্ডের কর্ক সিটিতে শারদীয় দুর্গোৎসব সম্পন্ন

সিলেট মিরর ডেস্ক


নভেম্বর ০১, ২০২৩
০২:১১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ০১, ২০২৩
০২:১১ পূর্বাহ্ন



আয়ারল্যান্ডের কর্ক সিটিতে শারদীয় দুর্গোৎসব সম্পন্ন


আয়ারল্যান্ডের কর্ক সিটিতে দ্বিতীয়বারের মতো অত্যন্ত জাঁকজমকভাবে পালিত হলো শারদীয় দুর্গোৎসব। কর্কে বসবাসকারী বাংলাদেশী হিন্দু কমিউনিটি আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপি উৎসবে গতবারের চেয়ে এ বছর উপস্থিত দর্শনার্থীদের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে প্রবাসী বাঙ্গালীদের এক মিলন মেলায় পরিণত হয় এবারের দুর্গাপুজো। আয়ারল্যান্ডের ভিন্ন ভিন্ন কাউন্টি ছাড়াও লন্ডন, নর্দান আয়ারল্যান্ড ও সুদূর আইসল্যান্ড থেকে আগত দর্শনার্থীদের অংশগ্রহণ এই উৎসবকে এক ভিন্নমাত্রায় রূপ দেয় । এছাড়াও আইরিশ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পুলিশ সুপারিটেনডেন্ট জন ডেইজি , লর্ড মেয়র কিরান মেককার্তি, পার্লামেন্টারিয়ান মিক বেরি, লিমিরিকের মেয়র বাংলাদেশের কৃতি সন্তান আজাদ তালুকদার এই উৎসবে উপস্থিত হয়ে বাচ্চাদের মধ্যে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ছাড়াও সকলের সাথে বসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। 


এ সময়  আয়োজকদের মধ্যে রিপন ভৌমিক, আজিতাভ  আভি ও হীরক কর তাদের সম্মান সূচক উত্তরা পড়িয়ে দেন। ভারত নাট্যমের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দেবস্মিতা, ড. রাশি, উপলা ব্যানার্জীর নৃত্যে এবং ডাবলিন থেকে আগত শিল্পী দিলীপ বড়ুয়া, ভারতীয় শিল্পী মৌসুমী ঘোষ ও  আজিতাভ রায়ের গানে মুখরিত ছিল সপ্তমী সন্ধ্যা। এবারের পূজা প্রসঙ্গে সুদূর আইসল্যান্ড থেকে আগত দর্শনার্থী ডা. পার্থ বন্দ্যোপোধ্যায় বলেন, "এখানে এসে মনে হল, আমরা সবাই যেন একই পরিবারের অংশ, এরকম পূজাইতো প্রবাসে একত্রিত করে সকল বাঙালিকে ও বাঙালি পরিবারকে"। উদ্যোক্তাদের অন্যতম হীরক কর বলেন , "প্রবাসে থেকে সবাইকে দেশের পূজার অনুভূতি দেওয়াটাই ছিল আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। আর এর কিছুটা পূরণ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত"। আশা করি, আগামী বছরগুলিতে সবাইকে একসাথে নিয়ে আরও সুন্দর ও সুশৃংখলভাবে পূজা উদযাপিত করতে পারব। উল্লেখ্য, এ বছরের পাঁচদিন ব্যাপী দুর্গোৎসবের প্রতি দিন ছিল ভিন্ন ভিন্ন আয়োজনে ভরপুর। বিজয়া দশমীর শেষ দিনে, সিঁদুর খেলা, রাখি বন্ধন, বিশ্ববাসীর জন্য মঙ্গল প্রার্থনা ও স্থানীয় লগ লেকে ঘট বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি হয় দুর্গোৎসবের।

এএন/০১/০১১১২৩