সিলেট বিএনপির ‘অতিথি জালিয়াতি’, তোলপাড়

নিজস্ব প্রতিবেদক


ডিসেম্বর ১০, ২০২৩
০৮:৫২ অপরাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ১১, ২০২৩
০১:৩৭ পূর্বাহ্ন



সিলেট বিএনপির ‘অতিথি জালিয়াতি’, তোলপাড়

জেলা বিএনপির পাঠানো মানববন্ধনের ছবিতের কোথায় দেখা যায়নি খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরকে।

 

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে সিলেটে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে ‘অতিথি জালিয়াতি’র অভিযোগ পাওয়া গেছে। ‘পুলিশের বাঁধা’র কারণে আজ নির্ধারিত স্থানের পরিবর্তে আদালত চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে জেলা বিএনপি। দলের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি দাবি করে বলা হয়, কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। কিন্তু মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন এমন বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর দাবি, তারা খন্দকার মুক্তাদিরকে অনুষ্ঠানস্থল কিংবা আশেপাশে কোথাও দেখেননি।

আজ রবিবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ৪টার দিকে সিলেট জেলা বিএনপির অফিসিয়াল ইমেইল থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে র্তা প্রেরক দলের সহ দপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বিষয়টি জানাজানি হলে দলের ভেতরে শুরু তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়-

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেটে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছে জেলা ও মহানগর বিএনপি।

রবিবার বেলা দুইটায় নগরের সুরমা পয়েন্টে পূর্বনির্ধারিত মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু করলেও পুলিশের ব্যাপক বাঁধার মুখে বিএনপির নেতাকর্মীরা সেখান থেকে সরে গিয়ে আদালত চত্ত্বরে কর্মসূচি পালন করেন।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী।’

মানববন্ধনের উপস্থিত বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘খন্দকার মুক্তাদির আহমদ আজকের (রবিবার) মানববন্ধনে উপস্থিতই ছিলেন না। তিনি বক্তব্য দেন কিভাবে তা আমাদের বোধগম্য নয়। তাকে আমরা অনুষ্ঠানস্থলে দূরের কথা আশেপাশে কোথাও দেখিনি।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। বিষয়টি নিশ্চিত হতে তাঁর সঙ্গে সিলেট মিরর থেকে যোাগযোগ করা হলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘খন্দকার মুক্তাদির আজকের অনুষ্ঠানে ছিলেন না। আমি সুরমা মার্কেট পয়েন্টে বিএনপি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মানববন্ধনে অংশ নিয়ে আদালত চত্বরে জেলা ও মহানগর বিএনপির মানববন্ধনে যোগ দেই। পুরোটা সময় কোথাও তাঁকে আমি দেখিনি।’

জেলা বিএনপির এ ধরণের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানোর খবরে বিস্মিত হয়েছেন জানিয়ে ক্ষোভের সঙ্গে আরিফুল হক বলেন, ‘প্রেস রিলিজ পাঠানোর যে ঘটনা ঘটেছে সেটা তো রীতিমতো রাজনৈতিক জালিয়াতি। এটা তো সাংঘাতিক ঘটনা। এটা রাজনীতির জন্যও খুব ক্ষতিকারক ঘটনা।’

এ বিষয়ে জানতে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘নির্দিষ্ট স্থানেই কর্মসূচি পালনের লক্ষ্য ছিল আমাদের। কিন্তু মানববন্ধনের পূর্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের সময় পুলিশ এসে মৌখিক বাদা দেয়। যার ফলে আমরা আদালত চত্বরে গিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনে বাধ্য হই।’

কর্মসূচিতে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির উপস্থিতি ছিলেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘খন্দকার মুক্তাদির কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। তবে, আদালত চত্বরে ঢুকতে যেয়ে পুলিশি বাধায় তাঁকে ফেরত যেতে হয়েছে।’

ভাইকে ফিরে পেতে ‘নিখোঁজ’ ছাত্রদল নেতা দিনারের বোনের আকুতি



এএফ/০৮