সিলেট মিরর ডেস্ক
নভেম্বর ১৯, ২০২৫
০১:৪৮ অপরাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ১৯, ২০২৫
০২:১৮ অপরাহ্ন
সাংবাদিক সোহেল মুক্ত, ডিবি হেফাজতে ছিলেন সাড়ে ১০ ঘণ্টা
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) নিশ্চিত করেছে দৈনিক ভোরের কাগজের অনলাইন সম্পাদক ও অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের সেক্রেটারি মিজানুর রহমান সোহেলকে তথ্য যাচাইয়ের জন্য গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে আনা হয়েছিল।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) ডিএমপির উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, সোহেলকে আটক করা হয়নি এবং তথ্য যাচাই শেষে তার স্ত্রী সুমাইয়া সীমার জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টায় রাজধানীর নতুন বাড্ডা থেকে ডিবির পোশাক পরা পাঁচ ব্যক্তি সোহেলকে তার বাসা থেকে নিয়ে যান। এ ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উদ্বেগ প্রকাশ করে তার মুক্তির দাবি জানান। বুধবার সকাল সোয়া ১০টায় সাড়ে ১০ ঘণ্টা হেফাজতে রাখার পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
মুক্তি পেয়ে সোহেল ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্টে তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। তিনি লিখেন, ডিবিতে নিয়ে আসামির খাতায় আমার নাম লেখা হয়। জুতা-বেল্ট খুলে রেখে গারদে আসামিদের সঙ্গে আমাকে রাখা হয়। তিনি দাবি করেন, সরকারের একজন উপদেষ্টার ইশারায় মাত্র ৯ জন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীকে মনোপলি ব্যবসার সুযোগ দিতে তাকে আটক করা হয়।
সোহেল উল্লেখ করেন, আজ বুধবার ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন রেজিস্টার (এনইআইআর) বিষয়ক একটি প্রেস কনফারেন্স বন্ধ করাই ছিল এর উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, আমি সেখানে ছিলাম মিডিয়া পরামর্শক। সেই প্রেস কনফারেন্স বন্ধ করাই তাদের প্রধান টার্গেট ছিল। কিন্তু তাদের জন্য আফসোস, যে উদ্দেশ্যে তারা প্রেস কনফারেন্স বন্ধ করতে চাইলো সেটা দেশের সবাই জেনে গেলো। তিনি বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে গ্রামের সাধারণ মানুষ, প্রবাসীসহ অনেকেই বিপদে পড়বে। একটা চেইন ভেঙে পড়বে।
ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তি পেলেও অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের অন্যতম সদস্য আবু সাঈদ পিয়াস এখনও ডিবি কার্যালয়ে আটক রয়েছেন বলে সোহেল তার পোস্টে উল্লেখ করেন।
জিসি / ০৩