ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে মার্সেলোর ফ্লুমিনেন্স

খেলা ডেস্ক


ডিসেম্বর ২০, ২০২৩
১২:৩১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ২০, ২০২৩
১২:৩১ পূর্বাহ্ন



ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে মার্সেলোর ফ্লুমিনেন্স


করিম বেনজেমা, এনগোলো কান্তের আল ইত্তিহাদকে বিদায় করে সেমিফাইনালে উঠেছিল আফ্রিকার চ্যাম্পিয়ন আল আহলি। সেমিফাইনালে দক্ষিণ আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষেও চমক দেখানোর স্বপ্ন দেখছিল মিশরীয় ক্লাবটি। কিন্তু রূপকথা লেখার সুযোগ দিল না ব্রাজিলের ক্লাবটি। আল আহলিকে সহজেই হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ফ্লুমিনেন্স।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মিশরের ক্লাব আল আহলিকে ২-০ গোলে পরাজিত করেছে ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লুমিনেন্স। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে গোল দুটি হয়। জন আরিয়াসের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর জন কেনেডির গোলে ফ্লুমিনেন্সের জয় নিশ্চিত হয়।

সৌদি আরবের কিং আব্দুল্লাহ স্পোর্টস সিটির মাঠে আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে জমে উঠেছিল খেলা। ম্যাচ হারলেও ছেড়ে কথা বলেনি বেনজেমাদের হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠা মিশরীয় ক্লাবটি।

ম্যাচের নবম মিনিটে প্রথম বড় সুযোগ পায় ফ্লুমিনেস। বাঁ প্রান্ত থেকে ডি-বক্সে সতীর্থের পাঠানো দারুণ ক্রসে জোরাল শট নিয়েছিলেন আরিয়াস। কিন্তু সাইডবারে লেগে শট প্রতিহত হয়। ২৪ মিনিটে আরও একবার হতাশ হন আরিয়াস। ডি বক্সের ভেতর থেকে তার নেওয়া শট ফের পোস্টে লেগে ফেরে।

৩৬ মিনিটে ফ্লুমিনেন্সকে বাঁচান গোলরক্ষক ফাবিও। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটির ডি-বক্সে ঢুকে পড়েছিল প্রতিপক্ষ আল আহলির এক খেলোয়াড়। এরপর শট নিলেও তা ফ্লুমনেন্সের এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে ওপরে উঠে যায়। আল আহলির একজন ফাকায় বল পেয়ে খুব কাছ থেকে হেড করেন। দারুণ রিফ্লেক্সে সে হেড ঠেকিয়ে দেন ৪৩ বছর বয়সী ফাবিও।

গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণ-পাল্টাআক্রমণ চলতে থাকে। ৫৩ মিনিটে সংঘবদ্ধ আক্রমণে ওঠে ফ্লুমিনেন্স। আল আহলির ডি বক্সের সামনে বল পেয়ে ডান দিকে পাস বাড়ান গানসো। সে পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শট নেন জার্মান ক্যানো। তার জোরাল শট দূরের পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়।

৬৭ মিনিটে পেনাল্টি পায় ফ্লুমিনেন্স। সতীর্থের লম্বা করে বাড়ানো পাস আল আহলির ডি-বক্সের ঠিক বাইরে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নেন মার্সেলো। তাকে মার্ক করা পার্সি তাউকে নাটমেগ করে কাট ইন করার চেষ্টা করলে মার্সেলোকে টেনে ধরে ফেলে দেন তিনি। ফলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পটকিক থেকে গোল করে ডেডলক ভাঙেন কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড জন আরিয়াস।

ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের একদম শেষ মিনিটে দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় ফ্লুমিনেন্স। আল আহলির ডি-বক্সের কিছুটা বাইরে বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে ক্ষিপ্রতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ নেন মার্টিনেল্লি। এরপর ডানে থাকা কেনেডিকে পাস দেন তিনি। কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান তিনি।

দ্বিতীয় সেমিফাইনালে সেমিফাইনালে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন উরাওয়া রেডসের মুখোমুখি হবে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি।

এএন/০২