একুশে পদক পেলেন সিলেটের তিন গুণীজন

নিজস্ব প্রতিবেদক


ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪
১০:৫৬ অপরাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪
০৭:২৮ অপরাহ্ন



একুশে পদক পেলেন সিলেটের তিন গুণীজন

বিদিত লাল দাস, রূপা চক্রবর্তী, শুভ্র দেব,


রাষ্ট্রীয় দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হলেন সিলেটের তিন গুণীজন। তারা হলেন বিখ্যাত সংগীতশিল্পী বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), শুভ্র দেব এবং আবৃত্তিতে হবিগঞ্জের রুপা চক্রবর্তী।

আজ মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একুশে পদকের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হয়। সিলেটের তিন গুণীজনসহ এবার মোট ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিককে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য চলতি বছর (২০২৪) একুশে পদক দেওয়া হয়েছে।

 লোক কবিদের এই সব লোকগান সংগ্রহ ও সুর সংযোজনের মাধ্যমে এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন শ্রী বিদিত লাল দাস।

বিদিত লাল ১৯৩৮ সালের ১৫ জুন সিলেটের শেখঘাটে সম্ভ্রান্ত জমিদার লাল পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বিদিত লাল দাস বাংলাদেশি বাউল গায়ক ও সুরকার। তিনি হাছন রাজা, রাধারমণ দত্ত, ও গিয়াস উদ্দিনসহ অনেক লোকসংগীত শিল্পীদের গানের সুর করেছেন।

 তিনি ১৯৬০ এর দশকের একজন অন্যতম বেতার গায়ক। তার সুরকৃত গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল "কারে দেখাবো মনের দুঃখ গো", "সিলেট প্রথম আজান ধ্বনি", "প্রাণ কান্দে মোর", "মরিলে কান্দিসনে আমার দায়", "সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী", ও "আমি কেমন করে পত্র লিখি"। তিনি সিরাজউদ্দৌলা, দ্বীপান্তর, তপসী, প্রদীপশিখা, বিসর্জন, ও সুরমার বাঁকে বাঁকে নাটকের সংগীত পরিচালনা করেছেন। তার সফল্যের মধ্যে নজরুল একাডেমি পুরস্কার ও কলকাতায় ভারতীয় লোক সংবর্ধনা উল্লেখযোগ্য। ২০১২ সালের ৮ অক্টোবর তিনি ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।


এ সংক্রান্ত অপর সংবাদ পড়ুন:

একুশে পদক পাচ্ছেন ২১ বিশিষ্ট নাগরিক


আবৃত্তি ক্যাটাগরিতে একুশে পদক পেলেন সিলেটের মেয়ে রূপা চক্রবর্তী। ১৯৬১ সালে তিনি সিলেট শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একাধারে আবৃত্তিশিল্পী, সঞ্চালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।  ১৯৯২ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর একক আবৃত্তির ক্যাসেট ‘আমি নারী’। 

সিলেটের আরেক কৃতিসন্তান শুভ্র দেব। তিনিও সংগীতে একুশে পদক পেয়েছেন। শুভ্র দেব কাস্টঘর এলাকার বাসিন্দা। সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন।

শুভ্র দেব একজন বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী। ২৬ আগস্ট ১৯৬৬ সালে সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৮ সাল থেকে গান করেন।

শুভ্র দেবের জন্ম বাংলাদেশের সিলেটে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব রসায়ন বিভাগ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘নতুন কুঁড়ি’ অনুষ্ঠানে গানের প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে তিনি প্রেসিডেন্ট পুরস্কার লাভ করেন।

শুভ্র দেব গত শতকের আশির দশকে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি আধুনিক রোমান্টিক গান গেয়ে থাকেন। তার প্রকাশিত প্রথম সঙ্গীত অ্যালবাম 'হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা'। অ্যালবামটি ১৯৮৪ সালে প্রকাশিত হয়। এছাড়াও তিনি আরেকজন বাংলাদেশী গায়িকা শাকিলা জাফর ও ভারতীয় শিল্পী অলকা ইয়াগনিকের সাথে যৌথ গান গেয়েছেন। যে সমস্ত বাংলাদেশী শিল্পী এমটিভি'র তৈরী মিউজিক ভিডিওতে অংশগ্রহণ করেছেন, তিনি তাদের প্রথম দিকের একজন। তার টেলিছবি স্ত্রীর পত্র ২০০৩ সালে সেরা টেলিছবি হিসেবে ইউরো-বিনোদন বিচিত্রা পুরস্কার লাভ করে।


এএফ/০৮