কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি
মার্চ ৩১, ২০২৪
০৭:৪১ অপরাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ০১, ২০২৪
১১:৫৯ অপরাহ্ন
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে জমি ভাড়ার টাকা নিয়ে বিরোধ থেকে চাচাতো ভাইদের আঘাতে খুন হয়েছেন নুরুল আলম (২৬) নামে এক যুবক।
আজ রবিবার (৩১ মার্চ) রবিবার ভোর পাঁচটায় ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যু বরণ করে।
নুরুল কোম্পানীগঞ্জের নয়াগাঙ্গেরপাড় গ্রামের মৃত আব্দুল ৪র্থ ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার দিকে নিহত নুরুল আলমের সৎ ভাই দিলোয়ার মিয়ার সঙ্গে তার আপন চাচাতো ভাই ইকবাল মিয়ার জমি ভাড়ার টাকা নিয়ে তর্কবিতর্কে থেকে সংঘাত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন নুরুল আলম ও তাঁর ভাই রফিকুল আলম। এসময় স্থানীয়রা সংঘাত ও টাকা নিয়ে বিরোধের বিষয়টি শালিস বিচার করে দেখার সিদ্ধান্ত দেন। তার কিছু সময় পর ইকবাল মিয়া (৩৫), আক্তার হোসেন (৪৫), আনোয়ার (৫০) ও নাঈম আহমদ (২২) দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নয়াগাঙ্গেরপাড় হাওরের মাঝে নুরুল আলমের উপর হামলা করে। এতে নুরুল আলমের মাথা একাধিক স্থানে ফেটে গুরুতর আহত হলে তাকে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে তিনি মারা যান।
নিহতের ভাই রফিকুল আলম জানান, আমার সৎ ভাই দিলোয়ার ও তাঁর চাচাতো ইকবাল, আক্তার ও আনোয়ারদের সঙ্গে পৈত্রিক সম্পত্তি ভাড়ার টাকা নিয়ে কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছিল। গত শুক্রবারে ইকবাল পরদিন শনিবারে কিছু টাকা দিবে বলে জানান। শনিবার বিকেলে ইকবালের কাছে টাকা চাইলে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করে। এ নিয়ে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে মারামারি হয়। খবর পেয়ে আমার ভাই নুরুল আলম মাছ সংগ্রহ রেখে ঘটনাস্থলে এসে মীমাংসা হয়েছে শুনে বাড়িতে যাওয়ার পথে দেশীয় বিভিন্ন লাঠি ও অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। তাদের হামলায় নুরুল আলম খুন হয়েছে। আমরা আইনের কাছে আসামীদের আটক করে সঠিক বিচার দাবী করছি।
নিহত নুরুল আলম দেড় বছরের একটি মেয়ে ও তিন বছরের একটি ছেলে সন্তান, মা ও স্ত্রী রয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমদ জানান, শনিবার জমি ভাড়ার টাকা নিয়ে একটি মারামারি খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানো হয়। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।’
নুরুল আলম ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার ভোর ৫টায় মৃত্যু বরণ করেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে রয়েছে। এঘটনায় কেউ অভিযোগ না দিলেও নিহত ও স্থানীয়দের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ’
ঘটনার খবর পেয়ে রবিবার সাড়ে ৩টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সহকারী পুলিশ সুপার (গোয়াইনঘাট সার্কেল) জাহিদুল ইসলাম।
কেএ-০১/এএফ-০৬
