ব্রিটেনের প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মন্ত্রী হচ্ছেন টিউলিপ সিদ্দিক

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুলাই ০৯, ২০২৪
১০:১৭ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ১১, ২০২৪
১২:২১ পূর্বাহ্ন



ব্রিটেনের প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মন্ত্রী হচ্ছেন টিউলিপ সিদ্দিক


যুক্তরাজ্যে টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ সিদ্দিক এমপি ব্রিটেনের মন্ত্রিসভায় প্রথম ব্রিটিশ-বাংলাদেশি মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হতে যাচ্ছেন। টিউলিপ সিদ্দিক স্যার কেয়ার স্টারমারের নতুন সরকারে ‘সিটি মিনিস্টার’ নিযুক্ত হচ্ছেন। সিটি মিনিস্টার হিসেবে মন্ত্রীত্বের মাধ্যমে টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের আর্থিক পরিষেবা খাত তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করবেন। তবে এখনও তা সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেনি।

লেবার বিরোধী দলে থাকাকালীন সিদ্দিক এই পদে ছায়ামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে লন্ডনের হ্যামস্টেড ও হাইগেট আসন থেকে ২৩ হাজার ৪৩২ ভোট পেয়ে টানা চতুর্থবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির ডন উইলিয়ামস পান মাত্র ৮ হাজার ৪৬২ ভোট। এর আগে হ্যামস্টেড ও কিলবার্ন আসনে টানা তিন বার এমপি হয়েছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন-

ব্রিটিশ হাউজিং মিনিস্টার হলেন রুশনারা আলী

৪১ বছর বয়সী টিউলিপকে লেবার পার্টির অভ্যন্তরে নতুন প্রজন্মের তুমুল সম্ভাবনাময় রাজনীতিবিদ হিসেবে দেখেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। লেবার পার্টির নিরাপদ বা সেফ সিট নয়, এমন আসনে ২০১৫ সালের নির্বাচনে প্রথমবার লেবারের মনোনয়ন পেয়েই তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে চমক সৃষ্টি করেন টিউলিপ।

টিউলিপ সিদ্দিক আগের কনজারভেটিভ সরকারের অধীনে এইচএসবিসির সাবেক ব্যাংকার বিম আফোলামির স্থলাভিষিক্ত হবেন।

বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা নিজের কন্যা ব্রিটেনের টানা চারবারের নির্বাচিত এমপি টিউলিপ সিদ্দিককে নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছিলেন, আমার মেয়ে রাজনীতিতে তার জীবনটাকে উৎসর্গ করেছে। সবার কাছে তার জন্য দোয়া চাই।

১৯৮২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন টিউলিপ। ব্রিটেনজুড়ে যে পাঁচ-ছয়টি আসনের জয়-পরাজয় নিয়ে ভোটার ও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের উন্মুখ দৃষ্টি, তার মধ্যে একটি হলো লন্ডনের হ্যামস্টেড ও কিলবার্ন আসন। নব্বইয়ের দশক থেকে এই আসনটি ব্রিটেনের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসনগুলোর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে। এই আসন থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত হন টিউলিপ।

ব্রিটেনের রয়েল সোসাইটি অব আর্টসের ফেলো টিউলিপ রেজোয়ানা সিদ্দিক ২০১৫ সালে এই আসন থেকে প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন। লন্ডনে জন্ম নেওয়া ক্যারিয়ার পলিটিশিয়ান টিউলিপ ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির সদস্য হয়ে যুক্ত হন ব্রিটিশ রাজনীতিতে। এমপি নির্বাচিত হওয়ার আগে টিউলিপ ক্যামডেন কাউন্সিলের কাউন্সিলার নির্বাচিত হন। তিনি ক্যামডেন কাউন্সিলের প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী কাউন্সিলার।

ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. শফিক সিদ্দিক ও শেখ রেহানা দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে টিউলিপ দ্বিতীয়। তার মা-বাবার, অর্থাৎ শফিক-রেহানা দম্পতির বিয়েও হয়েছিল এই কিলবার্নেই।

২০১৫ সালে এই আসন থেকে প্রথমবার এমপি হন টিউলিপ। ওই নির্বাচনে ২৩ হাজার ৯৭৭ ভোট পান তিনি। ২০১৭ সালের নির্বাচনেও তিনি ৩৪ হাজার ৪৬৪ ভোট পেয়ে পুনঃনির্বাচিত হন। এরপর ২০১৯ সালের নির্বাচনে তৃতীয়বার ২৮ হাজার ৮০ ভোট পেয়ে জয়ী হন। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে এমপি হয়েছেন লন্ডনের হ্যামস্টেড ও হাইগেট আসন থেকে।


এএফ/০১