সিলেট মিরর ডেস্ক
আগস্ট ৩০, ২০২৪
০৪:৩২ অপরাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ৩০, ২০২৪
০৫:০৯ অপরাহ্ন
নয় সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলার ফুলতলা চা-বাগান। নিউ টি এস্টেটের অন্তর্ভুক্ত বাগানটি বন্ধ থাকায় মজুরি ও রেশন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাগানের শ্রমিকরা। বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে যেখানে ১৭০ টাকা মজুরিতে জীবনযাপন প্রায় অসম্ভব সেখানে মজুরি ও রেশন ছাড়া শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
জানা গেছে, বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার দোহাই তিয়ে মালিকপক্ষ বাগান বন্ধ করার পায়তারা করছেন বলে মনে করেন শ্রমিকরা। বিগত বছরের নভেম্বর মাস থেকে ফুলতলা চা-বাগান বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। শ্রমিকরা অসহনীয় যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে বাধ্য হয়ে অর্থ প্রদান করেন। আগস্ট মাস থেকে বিদ্যুৎ চালু হওয়ার কথা থাকলেও এখনও চালু হয়নি।
চা-শ্রমিকের ১০ দফা বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা আব্দুল্লাহ আল কাফি রতন, সমণ্বয়ক এস এম শুভ এবং আহবায়ক সবুজ তাঁতী এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, ‘শ্রমিক শোষণের সেই পুরোনো কৌশল প্রয়োগের দিন ফুরিয়ে আসছে। অবিলম্বে ফুলতলা চা-বাগান খুলে দিয়ে ক্ষতিপূরণসহ শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ করতে হবে। অন্যথায়, বাংলাদেশের প্রত্যেকটি চা-বাগানের শ্রমিকরা এই শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।’
ফুলতলা চা-বাগানের আন্দোলনরত চা-শ্রমিকদের সঙ্গে সংগহি প্রকাশের পাশাপাশি নেতৃবৃন্দ সারা বাংলাদেশের সকল চা-শ্রমিকসহ জনসাধারণকে রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানায়।
এএফ/০৯