হারিছ চৌধুরী শনাক্তে ডিএনএ টেস্টের জন্য মরদেহ উত্তোলন

সিলেট মিরর ডেস্ক


অক্টোবর ১৬, ২০২৪
১১:৪৩ অপরাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ১৬, ২০২৪
১১:৪৩ অপরাহ্ন



হারিছ চৌধুরী শনাক্তে ডিএনএ টেস্টের জন্য মরদেহ উত্তোলন


সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ও আলোচিত বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর ‘মরদেহে’র পরিচয় নিশ্চিতের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করা হচ্ছে। এরপরে নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে ঢাকার সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস.এম রাসেল ইসলাম নূরের নেতৃত্বে বিরুলিয়া ইউনিয়নের জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন মাদ্রাসার থেকে হারিছ চৌধুরীর মরদেহ  উত্তোলন করা হয়।  

পুলিশ জানায়, হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিনের করা এক রিট আবেদনের শুনানি হয়। গত ৫ সেপ্টেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ মরদেহ উত্তোলন করার আদেশ দেন। সেই আদেশ মোতাবেক সকাল ১০টার দিকে মরদেহ উদ্ধারপ্রক্রিয়া শুরু করা হয়। 

জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আশিকুর রহমান কাসিমি জানান, ২০২১ সালে ৩ সেপ্টেম্বর মাহমুদুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে মাদ্রাসায় দাফন করা হয়। ওই সময় তার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি মাহমুদুর রহমান নামেই দিয়েছিল। এরপরে পত্রিকায় হঠাৎ একটি খবরে জানতে পারি, তিনি হারিছ চৌধুরী। সেই মরদেহের পরিচয় নিশ্চিতের জন্য মরদেহ উত্তোলন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। 

হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন বলেন, আমি খুব ভয়-ভীতির মধ্যে ছিলাম। আমি আমার পরিবারের সহায়তা পাইনি। কারণ, ১৫ বছর আমার পরিবারের ওপর অনেক অত্যাচার চলেছে এবং আরও অত্যাচারের সম্ভাবনা ছিল। সে সময় আমি বিদেশ ছিলাম। দাফন করার জন্য আমি পাগলের মতো একটি জায়গা খুঁজতে থাকি। এ সময় আমি অনেক কান্নাকাটি করি এবং আল্লাহর কাছে একটা জায়গা ম্যানেজ করার জন্য অনেক কান্নাকাটি করি। আমার পরিবারের পক্ষ থেকে অনেকেই বলেছিল, আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামে দাফনের জন্য। কিন্তু আমি রাজি হইনি। পরে আমার মধ্যে জিদ চেপে যায়। আমার নানুর জন্য বড়মামা এই মাদ্রাসাতে জমি নিয়েছিলেন। সেখানেই ২০২১ সালে ৩ সেপ্টেম্বর তাকে দাফন করা হয়। 

ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ বলেন,  হারিছ চৌধুরীর মেয়ের করা এক রিটে প্রফেসর মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা সেই ব্যক্তিই হারিছ চৌধুরী, তার পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য ডিএনএ টেস্ট করা হবে। সেজন্যই মরদেহ উদ্ধার করে ল্যাবে পাঠানো হবে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা। 

সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস.এম রাসেল ইসলাম নূর জানান,  হারিছ চৌধুরীর মেয়ের করা একটি রিটে হাইকোর্টের নির্দেশে মরদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে। এরপরে পরিচয় নিশ্চিতদের জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।  হারিছ চৌধুরীর মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত হলে তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জানিয়ে দাফন করা হবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে ৩ সেপ্টেম্বর সাভারের বিরুলিয়ার কমলাপুর এলাকার জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন মাদ্রাসায় মাহমুদুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে দাফন করা হয়। পরে হারিছ চৌধুরীর মেয়ে দাবি করেন, এই মরদেহ তার বাবার।



এএফ/০৬