সিলেট মিরর ডেস্ক
নভেম্বর ০২, ২০২৫
০১:৪৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ০২, ২০২৫
০১:৪৭ পূর্বাহ্ন
সিপিবি সিলেট জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমনকে মধ্যরাতে বাসা থেকে গ্রেপ্তার ও বাসদ সিলেট কার্যালয় থেকে ২২জন শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে তাদের মুক্তি দাবি করেছে গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি।
শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মনির উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিলেট জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কমরেড অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমনকে গতকাল ০১ নভেম্বর রাত ১টার সময় বাসা থেকে এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের সিলেট কার্যালয় থেকে দিনে ২২জন শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে সিলেটের পুলিশ গ্রেপ্তার করে। আজ সারাদিন থানায় রেখে রাত ৮টায় চারটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলার আসামি শ্রেণিভুক্ত করে আদালতের মাধ্যমে সিলেটের পুলিশ কারাগারে প্রেরণ করে। বর্তমানে কমরেড আনোয়ার হোসেন সুমন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে আটকাবদ্ধ রয়েছেন।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কথিত যে- চারটি মামলার অভিযোগে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিলেট জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, ওই মামলাগুলোর কল্পিত ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি একেবারেই অসত্য। প্রকৃত সত্য হচ্ছে- ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে চারটি মামলায় কমরেড আনোয়ার হোসেন সুমন এবং শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে বেআইনিভাবে ফ্যাসিবাদী কায়দায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যা-আইনের শাসনের পরিপন্থী।’
গ্রেপ্তারকৃতরা এসব মামলায় সম্পৃক্ত ছিলেন না দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কথিত ভিত্তিহীন মামলাগুলোর বর্ণিত ঘটনার সাথে গ্রেপ্তারকৃত নেতৃবৃন্দ যুক্ত ছিলেন না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দুরভসন্ধিমূলকভাবে কৌশলে শ্রমিক বান্ধব নেতা এবং শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা ভাষ্যে সাজানো অভিযোগে ফাঁসানো ও গ্রেপ্তার করা অবিচারের শামিল।’
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি সিলেট শাখার পক্ষ থেকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা নিন্দা জানানোর পাশাপাশি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সিলেট শাখা গ্রেপ্তারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি সিলেট শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মনির আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মনির উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিদ্যুৎ দাশ বাপন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোস্তাকিম আহমেদ কাওছার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে জোরালো দাবি জানিয়ে বলেন, কমরেড আনোয়ার হোসেন সুমন এবং ২২জন শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে অতিসত্বর নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।’