সিলেট মিরর ডেস্ক
অক্টোবর ২৩, ২০২৪
০৮:১৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ২৩, ২০২৪
০৮:১৭ পূর্বাহ্ন
মিরাজকে অপেক্ষায় রেখে দিনের খেলার সমাপ্তি
বৃষ্টি থামার পর ফের শুরু হলো খেলা। চা বিরতির ২০ মিনিটসহ ৮০ মিনিটের অপেক্ষা শেষে দুপুর ৩টায় বল মাঠে গড়ায়। কিন্তু খেলা থামতেও সময় লাগেনি। আলোরস্বল্পতার কারণে ৫ ওভার পর ফের খেলা বন্ধ হয়ে যায়। তখন মেহেদি মিরাজ অপরাজিত ৮৭ রানে। লিড হয়েছে ৮১। আজ আর খেলা শুরু হবে কিনা- তা অনিশ্চিত।
মেঘলা আকাশের নিচে আজ বুধবার ৩ উইকেটে ১০১ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। কাগিসো রাবাদার করা দিনের চতুর্থ ওভারেই উদ্ভট শট খেলতে প্রথম স্লিপে ধরা পড়েন ৯২ বলে ৫ চারে ৪০ রান করা মাহমুদুল। এক বল পরেই আউট মুশফিক। রাবাদার সেই ভেতরে ঢোকা বলে বোল্ড হয়ে থামল তার ২৩ রানের ইনিংস। এরপর পালা লিটন দাসের (৭) । কেশব মহারাজের স্টাম্পে পিচ করা বল লিটনের ব্যাট ছুঁয়ে কিপারের গ্লাভসে জমা পড়ে। আম্পায়ার আঙুল না তুললে রিভিউ নিয়ে জয়ী হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
১১২ রানে ৬ উইকেট পতনের পর মেহেদি মিরাজ আর জাকের আলী প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। এই জুটিতেই ইনিংস হার এড়িয়ে লিড নেয় বাংলাদেশ। ৯৪ বলে ক্যারিয়ারের ৯ম ফিফটি পূরণ করেন মিরাজ। মধ্যাহ্নবিরতির আগে বাংলাদেশ ৬৩ ওভারে তুলেছে ২০১ রান। বিরতির পর ১০২ বলে অভিষেক টেস্ট ফিফটি তুলে নেন জাকের। দুজনেই দ্রুত রান তুলছিলেন। তবে ১৩৮ রানের মহামূল্যবান এই জুটি ভাঙে জাকেরের বিদায়ে। কেশব মহারাজের বলে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন জাকের। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি। ফিরতে হয় ১৪১ বলে ৮ চার ১ ছক্কায় ৭৩ রানে।
মিরাজ-জাকেরের জুটি টেস্টে যে কোনো উইকেটেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। এর আগে ২০০৩ সালে চট্টগ্রামে হাবিবুল বাশার ও জাভেদ ওমরের করা ১৩১ রানের জুটি ছিল সর্বোচ্চ। ৮০ ওভারে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ২৬৭ রান তুলতেই বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে যায় খেলা।
জিসি / ০৩