জমি দখল নিয়ে আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৭

সিলেট মিরর ডেস্ক


মার্চ ১০, ২০২৫
০৯:৪১ অপরাহ্ন


আপডেট : মার্চ ১১, ২০২৫
১০:০৬ পূর্বাহ্ন



জমি দখল নিয়ে আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৭

শাহ আরফিন টিলা এলাকার চিত্র। -ফাইল ছবি


সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে টিলার জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে সাতজন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় সোমবার (১০ মার্চ) আহত আব্দুর রহিমের স্ত্রী বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।

সর্বশেষ রবিবার রাতে সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের দুইপক্ষের ৬ জনসহ ৭ জন আহতের ঘটনা ঘটেছে।

আহতরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক হুঁশিয়ার আলী, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল করিম, মাসুক মিয়া, আবুল হোসেন, আব্দুর রহিম, রমজান আলী। দুপক্ষের মারামারি থামাতে গিয়ে আহত হোন বাবুলনগর গ্রামের জুয়েল আহমদ। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর থেকে শাহ আরেফিন টিলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতারা সিন্ডিকেট করে টিলা, মাজারের মাঠ, মসজিদের মাঠ ও কবরস্থান থেকে পাথর উত্তোলন করেছিলেন। এসব জায়গায় পাথর উত্তোলনকে কেন্দ্র করে টিলা এলাকায় সংঘর্ষ, জালিয়ারপাড় ও শাহ আরেফিন বাজার এলাকায় বেশ কয়েকবার উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

রবিবার সকালে শাহ আরেফিন টিলার কবরস্থান থেকে পাথর উত্তোলন করতে কাজ শুরু করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক হুঁশিয়ার আলী ও আওয়ামী লীগ নেতা বশর মিয়া গ্রুপ। এর আগে তারা মাজার মসজিদ মাঠ ও কবরস্থানের বেশিরভাগ জায়গায় থেকে পাথর উত্তোলন করে বিলীন করে দিয়েছেন। কবরস্থান থেকে পাথর উত্তোলনে জালিয়ার পাড়ের মাসুক মিয়ার মাধ্যমে বাধা দেন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল করিমসহ জালিয়ার পাড় গ্রামের মুরব্বিরা। এতে হুঁশিয়ার আলী ও বশর মিয়া গ্রুপ ক্ষিপ্ত হয়।

এদিন সন্ধ্যার পর মাসুক মিয়া শাহ আরেফিন বাজারে গেলে তার ওপর চড়াও হয় হুশিয়ার-বশর গ্রুপ। এর কিছুক্ষণ পর আব্দুল করিমসহ অন্যরা বাজারে গেলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন। 

আহতদের মধ্যে আবুল হোসেন, হুঁশিয়ার আলী, আব্দুল করিম, ও জুয়েল আহমদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে পাঠানো হয়। এসময় শাহ আরফিন বাজারে বেশ কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর করে হুশিয়ার-বশর গ্রুপের লোকজন। পরে স্থানীয়রা ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

গত বছরের ৯ ডিসেম্বর শাহ আরফিন টিলায় জায়গা দখল নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে পাড়ুয়া মাঝপাড়া গ্রামের আলী হোসেনের লোকজনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন আহত হন। 

এ ঘটনায় গুলিবর্ষণের অভিযোগ উঠে আওয়ামী লীগ নেতা শামীম আহমদের লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সিলেট জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল আবেদীনসহ কয়েকজনের নামে মামলা রেকর্ড হয় কোম্পানীগঞ্জ থানায়। এ সব ঘটনা ছাড়াও শাহ আরফিন টিলায় জমি দখল ও পাথর উত্তোলন নিয়ে ছোট বড় কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান বলেন, ‘শাহ আরফিন এলাকায় দুই পক্ষের মারামারির খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। আহতরা চিকিৎসাধীন। 

তিনি আরো বলেন, 'একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এলাকায় যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ টহল অব্যাহত।



কেএ-০১/এএফ-০১