সিলেটে বিকল্প জ্বালানি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা

সিলেট মিরর ডেস্ক


মার্চ ২৩, ২০২৫
০৩:২২ অপরাহ্ন


আপডেট : মার্চ ২৩, ২০২৫
০৩:২২ অপরাহ্ন



সিলেটে বিকল্প জ্বালানি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা

সিলেটে বিকল্প জ্বালানি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা


সিলেটে বিকল্প জ্বালানি পরিকল্পনাবিষয়ক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২২ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় সিলেট নগরীর ধোপাদিঘির পাড়স্থ হোটেল মেট্রো ইন্টারন্যাশনালের হলরুমে আয়োজিত সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

জ্বালানি খাতের স্থিতিশীলতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হাওর এরিয়া আপলিফটমেন্ট সোসাইটি (হাউস), উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন) এবং বিডাব্লিউজিইডির যৌথ উদ্যোগে এই সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় দেশের জ্বালানি খাতের বিকল্প সম্ভাবনা, স্বল্প-মেয়াদি ও দীর্ঘ-মেয়াদি পরিকল্পনা এবং টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্লিন-এর প্রধান সমন্বয়কারী মাহবুব আলম প্রিন্স এবং প্রচারাভিযান সমন্বয়কারী সাদিয়া রওশন অধরা। সাদিয়া রওশন বলেন, ‘দেশের বার্ষিক বিদ্যুৎ চাহিদা প্রতি বছর ৬ দশমিক ৫ থেকে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ৫ শতাংশ এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ৪ শতাংশে নেমে আসতে পারে।’

মাহবুব আলম বলেন, ‘দেশের শিল্পখাতের ছাদে ৫ হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন সম্ভব, যা বছরে ৮ হাজার ১০০ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। একইভাবে আবাসিক ভবনের ছাদে ২৫ হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন করা সম্ভব, যা বছরে ৪৮ হাজার ৬২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে।’

এ ছাড়া ২০৩৫ সালের পর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো অবসরে চলে গেলে উৎপাদন সক্ষমতা হ্রাস পাবে। সে সময়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার ওপরও গুরুত্ব দেন তিনি।

সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দিপক রঞ্জন দাস, সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন এবং আইডিয়ার নির্বাহী পরিচালক নাজমুল ইসলাম।

জিসি / ০৫