নিজস্ব প্রতিবেদক
এপ্রিল ০৮, ২০২৫
০৪:২০ পূর্বাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ০৯, ২০২৫
০২:৩৫ অপরাহ্ন
ফিলিস্তিনি জনগনের ওপর গণহত্যাকারী ও দখলদার ইসরায়েলের পাশবিক হামলার প্রতিবাদে এবং অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনির স্বাধীনতার দাবিতে বৈশ্বিক ধর্মঘট কর্মসূচি চলাকালে মিছিল থেকে সিলেটের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় পুলিশ এ পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করেছে।
সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
আটকৃতরা হলেন, সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের ভাটি পাড়া এলাকার মো. রাজা মিয়ার ছেলে মো. রাজন, সুনামগঞ্জের হাছানগর ও কাজীটুলার আরব আলী ছেলে ইমন, কাজীটুলার দ্বীন ইসলামের ছেলে মো. রাকিবসহ ১০ জন।
সোমবার মিছিল থেকে হামলা চালিয়ে একদল দুর্বৃত্ত মিরবক্সটুলায় কেএফসি, রয়েল মার্ক হোটেল, সাফরা রেস্টুরেন্ট, ইউনিমার্ট, বনফুল, অসংখ্য প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাঙচুর চালায়। এর মধ্যে কেএফসি, রয়েল মার্ক হোটেল দুই দফা হামলা হয়। এছাড়া বাটার চারটি শোরুমে হামলা, ভাঙচুর ও ব্যাপক লুটপাট করে। শতাধিক দোকানে ঢুকে ‘ইসরায়েলি কোমল পানীয় বের করে ভাঙচুর করে। বাটার শোরুমগুলোতে লুটপাটের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে। রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ লুটপাটকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। পরে পুলিশ অভিযানে নেমে এ পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করেছে।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক বলেন, ফিলিস্তিনিদের উপর বর্বরোচিত হামলা, হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসলীলা চালানোর প্রতিবাদে সারাদেশে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় সিলেটেও প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। এসব কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে কিছু উচ্ছৃঙ্খল জনতা কেএফসি, বাটা, ইউনিমার্টসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে লুটপাটের সঙ্গে জড়িত থাকা ১০ জনকে আটক করেছি।
তিনি আরো বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা সাপেক্ষে ভাঙচুর ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে বিভিন্ন এলাকায় আমাদের টহল ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এএফ/০২